আজানের বদলে হোয়াটসঅ্যাপ!
১৬ এপ্রিল ২০১৮দেশটির পরিবেশমন্ত্রী কোয়াবেনা ফ্রিম্পং-বোয়েটেং ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘টেক্সট কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে কেন নামাজের সময়সূচি জানানো যাবে না? ইমাম সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে পারেন৷ আমি মনে করি, এর ফলে শব্দ কমবে৷ এটি হয়ত বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, কিন্তু এই বিষয়ে আমরা ভাবতে পারি৷’’
রাজধানীতে অনেক মুসলমান মোবাইল ব্যবহারের বিষয়টি মানতে পারছেন না৷ শেখ উসান আহমেদ নামে ফাদামা সম্প্রদায়ের এক ইমাম শব্দ দূষণের পরিমাণ যে কমতে পারে সে ব্যাপারে একমত৷ তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক জটিলতার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ইমামকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেয়া হয় না৷ এই কাজ করতে তিনি কোথায় টাকা পাবেন? যা করা সম্ভব, তা পালন করার চেষ্টা করি আমরা৷ সুতরাং টেক্সট বা অন্য উপায় বার্তা পাঠানো সমস্যা না৷ কিন্তু এর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না৷’’
ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলা অন্য মুসলমান ব্যক্তিরাও সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ নোরা এনসিয়াহ বলছেন, ‘‘সকালবেলায় মেগাফোন ব্যবহার করে নামাজের জন্য মুসলমানদের ডাকার বিষয়টিকে আমি সমস্যা বলে মনে করি না, কারণ, খ্রিষ্টানদের গির্জাও মেগাফোন ব্যবহার করে৷’’
আক্রার আরেক বাসিন্দা কেভিন প্র্যাটও পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ‘‘সবাই সামাজিক মাধ্যমে নেই৷ এছাড়া সবাই তাঁর (মন্ত্রী) মতো শিক্ষিত নন,’’ বলেন তিনি৷
এদিকে, বিষয়টি ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ঘানার সরকার৷ মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে সৃষ্ট দূষণ কমানোরও পরিকল্পনা করছে দেশটি৷
উল্লেখ্য, খ্রিষ্টানপ্রধান ঘানার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মুসলমান৷
এর আগে রাজধানী কিগালিতে লাউডস্পিকার ব্যবহারে মসজিদগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রুয়ান্ডা৷ এছাড়া ভবন নির্মাণ নীতিমালা না মানা ও শব্দ দূষণের অভিযোগে খ্রিষ্টানপ্রধান সেই দেশে কয়েকশ' গির্জাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, রুয়ান্ডায় মুসলমানের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ৷
আইজ্যাক কালেদজি/জেডএইচ