মনরোর বক্ষপাঁজরের এক্সরে প্লেট নিলামে
২৯ জুন ২০১০মৃত্যুর অর্ধশতক পেরিয়ে গেছে, তারপরও স্বপ্নকন্যার আবেদন যে একটুও ফুরোয়নি, এটা তারই প্রমাণ৷
বক্ষপাঁজরের হাড়গুলো দেখা যাচ্ছে, তার ফাঁক দিয়ে কি উঁকি দিচ্ছে হৃদয়? সেখানে কি জন এফ কেনেডির নাম খোদাই করা? হতে পারে, আবার নাও পারে৷ তবু খুঁজে দেখতে দোষ কী? আর তাই হয়তো এত দাম দিয়েই নিলামে মনরোর এক্সরে প্লেট তিনটি কিনে নিলেন আগ্রহী ব্যক্তি৷ তবে তিনি কে, তাঁর পরিচয় জানা যায়নি৷
লস এঞ্জেলেসের নিলামঘর জুলিয়েনস দিন কয়েক আগে নিলামে তোলে মনরোর এক্সরে প্লেট তিনটি৷ এর মধ্যে দুটি বক্ষপিঞ্জরের, আর অন্যটি মেরুদণ্ডের নিচের অংশের৷ হলিউড তারকার এই এক্সরে তিনটি করা হয় ১৯৫৪ সালে৷ এর আট বছর পর মারা যান তিনি৷
শুধু এক্সরে প্লেটই নয়, নিলামে একটি চেয়ারও তুলেছিলো জুলিয়ানস৷ যেটিতে বসে একটি ছবি তুলেছিলেন মনরো৷ আর সেটাই তাঁর শেষ ছবি৷ চেয়ারটি বিকিয়েছে ৩৫ হাজার ডলারে৷ এর আগে বিভিন্ন সময় মনরোর ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিলামে উঠেছিলো৷ আর তাও বিক্রি হয় চড়া দামে৷
নরমা মর্টেনসন নামটি খুব অচেনা ঠেকছে কি? ১৯২৬ সালে জন্মের পর আদতে এটাই ছিলো মেরিলিন মনরোর নাম৷ তবে মনরো নামের আড়ালে হারিয়ে গেছে তা৷ ১৯৪৭ থেকে ১৯৬২- মনরোর চলচ্চিত্র জীবন মাত্র ১৫ বছর৷ বিয়ে করেছেন তিনবার৷ বিচ্ছেদও তিনবারই৷ শেষবার বিশ্ববরেণ্য নাট্যকার আর্থার মিলারের সঙ্গে বিয়েটাও টেকেনি৷ তাঁর সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডির সঙ্গে প্রণয়ই ছিলো বেশি আলোচিত৷
১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট লস এঞ্জেলেসে নিজের বাড়িতেই মনরোর লাশ পাওয়া যায়৷ বলা হয়, বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন লাস্যময়ী এই পর্দাকন্যা৷ তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এমন ধারণাও করেছেন অনেকে৷ তবে ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও রহস্যই থেকে গেলো রহস্যময়ী এই তারকার জীবনের অবসানের দিকটি৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক