ভাঙনের ইঙ্গিত
২০ জুলাই ২০১২কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দু'নম্বর আসন নিয়ে সংকট ঘনীভূত মনমোহন সিং-এর জোট সরকারে৷ রাষ্ট্রপতি পদপ্রাথী প্রণব মুখোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেয়ায়, দু'নম্বর আসনটি দেয়া হয় কংগ্রেসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনিকে৷ এতে তৃতীয় বৃহত্তম শরিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ৷ তাই প্রতিবাদে গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতারা৷
এনসিপি নেতা ভারি শিল্পমন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সবদিক থেকে দু'নম্বর আসনে বসার যোগ্যতম ব্যক্তি হলেন শারদ পাওয়ার৷ সেটা না করার অর্থ এনসিপিকে খাটো করা৷ সরকার ও কোয়ালিশনের কিছু কাজকর্ম নিয়ে এনসিপি'র বর্ষিয়ান মারাঠি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী৷ তবে তিনি বলেন, এই ইস্যুতে এনসিপি মন্ত্রীদের পদত্যাগের প্রশ্ন নেই, জোট সঙ্গী হয়ে থাকবে এনসিপি৷
বিতর্ক চাপা দিতে সোনিয়া গান্ধী তিন সদস্যের এক কমিটি গঠনের কথা বলেন, যে কমিটি প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনা করবেন৷
অন্যদিকে, দল ও সরকারে রাহুল গান্ধী বড় দায়িত্ব নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে৷ তবে দলে বা সরকারে তাঁকে কী দায়িত্ব দেয়া হবে, তা ঠিক করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ গতকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবার পর তিনি নিজেই সাংবাদিকদের একথা জানান৷ এরপরেই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে জল্পনার পারদ তুঙ্গে ওঠে৷ মনে করা হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশনের আগেই হবে৷
দিল্লির রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাহুলকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে৷ যাতে তিনি তৃণমূল স্তরের মানুষদের জন্য ভালো কাজ করে দেখাতে পারেন৷
বিজেপি মনে করে, রাহুল গান্ধী কী দপ্তর পাবেন, সেটা প্রশ্ন নয়৷ কারণ পুরো ব্যাপারটাই দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্র নয়, পরিবারতন্ত্রের ওপর৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ