মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি কর্মীদের দুরবস্থা
১১ এপ্রিল ২০১৩জর্ডান, কুয়েত, লেবানন আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে ভাগ্যান্বেষণে যাওয়া বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ৬ লাখ কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা আইএলও জেনেছে, ওই কর্মীদের সবাই চরম অন্যায়ের শিকার৷ জানা গেছে, তাঁদের প্রত্যেককে যে কাজের কথা বলে নেয়া হয়েছে, পরে আর সেই কাজ করানো হয়নি৷ গৃহকর্মের কথা বলে অনেককেই শেষ পর্যন্ত নামিয়ে দেয়া হয়েছে মরু অঞ্চলে ভেড়া, উট চালানো বা অন্য কিছু কঠিন পরিশ্রমের কাজে৷ অনেকে আবার হচ্ছেন যৌন নিপীড়নের শিকার৷ সেবিকা, শিক্ষিকা কিংবা ওয়েটারের কাজ করার কথা বলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের অনেককে আবার বাধ্য করা হয়েছে দেহব্যবসায় নামতে!
পুরো ব্যাপারটি আইএলও-র বিবেচনায় চাতুরির মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো অপছন্দনীয় কাজে বাধ্য করার শামিল৷ অথচ কর্মীরা কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেই গিয়েছেন সে সব দেশে৷ তারপরও তাঁদের এমন দুর্দশায় পড়ার জন্য আইএলও দায়ী করেছে মধ্যপ্রাচ্যের উল্লিখিত দেশগুলোর প্রচলিত আইন এবং বিদেশি কর্মীদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে৷ বলা হচ্ছে, সব কিছুর জন্য দায়ী আসলে ‘কাফালা'৷ এ এমন এক আইন যার কারণে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিদেশ থেকে আসা অসহায় কর্মীদের ওপর যথেচ্ছ আচরণের সুবিধা ভোগ করে৷ দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের সুযোগ করে দেয়া এ আইনের সংস্কারও দাবি করেছে আইএলও৷
এসিবি,এসবি (এএফপি)