মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় কার্যকালে বারাক ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জন কেরি৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে চাক হাগেল এখনো সংসদের ছাড়পত্র পান নি৷ তবে এই দুই ব্যক্তিকেই অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়৷ তাঁরা দু'জনেই যুদ্ধে লড়েছেন, তাই কোনো সামরিক অভিযান সম্পর্কে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁরা একাধিকবার ভাববেন, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷ সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা তৃতীয় বার নির্বাচিত হতে পারেন না, অতএব তিনি বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ ফলে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে ঘিরে সামান্য হলেও কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷
গত সপ্তাহান্তেই ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন জন কেরি৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপোশ করতে প্রস্তুত নন৷ নেতানিয়াহুও নির্বাচনে জিতে আপাতত নতুন সরকার গড়তে ব্যস্ত৷ ইরান ও সিরিয়া সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রেও নেতানিয়াহু ও কেরি সমন্বয়ের কথা হলেন৷ কর বাবদ ফিলিস্তিনিদের যে প্রাপ্য অর্থ ইসরায়েল আটকে রেখেছিল, তা আবার মঞ্জুর করায় কেরি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস-এর সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন নেতানিয়াহু৷
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে কেরি বলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী৷ ফিলিস্তিনি জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কেও তিনি বেশ সচেতন৷ মার্কিন কংগ্রেস যাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়, সে বিষয়েও সচেষ্ট হবেন জন কেরি৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জন কেরি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও বিতর্ক রয়েছে চাক হাগেল-কে নিয়ে৷ তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলে ইসরায়েলে অস্বস্তি বাড়বে৷ রিপাবলিকান দলের এই প্রাক্তন সাংসদ ইরানের প্রশ্নে নরম মনোভাব পোষণ করেন এবং ইসরায়েলের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি দেখাবেন না বলে কোনো কোনো মহল মনে করে৷ কেরি ও হাগেল-এর মতো দুই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মন্ত্রী এমনকি ওবামার সব অবস্থানের সঙ্গে একমত হবেন না বলেও মনে করা হচ্ছে৷ বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন প্যানেটা হাগেল-এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন৷ ‘টিম ওবামা ২' কাজ শুরু করলে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো অগ্রগতি দেখা যাবে কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে ওয়াশিংটন, জেরুসালেম তথা বাকি বিশ্ব৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)