মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার ফল শিগগিরই নয়- ওবামা
৮ সেপ্টেম্বর ২০১০মূলত তাঁর উদ্যোগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন মুল্লুকের রাজধানী ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে বসেছিলেন শান্তি আলোচনায়৷ দীর্ঘ বিশ মাসেরও বেশি সময় বাদে ভেঙ্গে যাওয়া এই বৈঠক শুরু হলো৷ এই আলোচনার পরপরই বিভিন্ন মহল থেকে স্বাভাবিকভাবেই আসতে থাকে আশাবাদ, শুভেচ্ছা বানী৷
ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের নতুন বছরের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক শুভেচ্ছা বাণী দিলেন মঙ্গলবার৷ সেই বাণীতেই তিনি বললেন শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে৷ আশায় বুক বেঁধে বারাক ওবামা বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন৷ বললেন, ‘যখন আমি দেখতে পাই দুই দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আলোচনায় ফিরেছেন, তখন অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয় তাদের, যারা এই আলোচনা শুরু করতে শ্রম দিয়েছেন৷' তিনি আবারো দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘পাশাপাশি দুটি দেশ শান্তি আর নিরাপত্তা নিয়ে অবস্থান করবে, এটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া৷' তবে তাঁর কথা, ‘যদিও দ্রুত ফলাফল আশা করাটা ঠিক হবে না, তারপরেও আমাদের সুযোগ এসেছে এগিয়ে যাবার৷'
ওবামার কথার সঙ্গে যেন সুর মেলালেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ তিনি বললেন, ‘ইসরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যে আলোচনায় সফলতা আসবে এমন গ্যারান্টি দেয়া যায় না৷' তবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে৷' তিনি বলেন, ‘এ জন্য দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে৷'
ইহুদি নতুন বছরের প্রাক্কালে এক ভিডিও ভাষ্যে এই কথা জানালেন নেতানিয়াহু৷ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই, যদিও এই কাজ এতো সহজ নয়৷'
তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যখন দেখা যাচ্ছে বেশ ইতিবাচক ভাবে এগিয়ে যেতে, তখন সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডর লিবারমানকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চেহারায়৷ কট্টরপন্থি বলে পরিচিত এই রাজনীতিক জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তি আলোচনার কারণে পশ্চিমতীরে ইহুদী বসতি স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখতে দেবেন না তিনি৷ অবশ্য লিবারমানের এই ভূমিকার সমালোচনা উঠেছে খোদ ইসরায়েলের অভ্যন্তরেই৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম