মানুষ পাঠানোর রকেট
২৯ আগস্ট ২০১৪২০১৮ সালে প্রথম বার মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রকেট৷ পোশাকি নাম ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম' বা এসএলএস৷ তার একটি সংস্করণের ওজন প্রায় প্রায় ৭০ মেট্রিক টন৷ তার ধাক্কায় প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন মহাকাশে পাঠানো যাবে, যেমনটা এতকাল সম্ভব ছিল না৷ বিপুল শক্তিতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে দ্রুত মহাকাশের গভীরে নিয়ে যেতে পারবে এই রকেট৷ ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ ফলে এই প্রথম সৌরজগতের আরও গভীরে যাবার স্বপ্ন দেখতে পারে মানুষ৷
তবে শুধু শক্তিশালী রকেট থাকলেই চলবে না, চাই বহুদূর যাবার উপযুক্ত মহাকাশযানও৷ তাই আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ‘ওরিয়ন মাল্টিপার্পাস ক্রু ভেহিকেল'নামের যান তৈরির কাজ চলছে৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই সেটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে৷
এসএলএস রকেটের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে৷ এর মধ্যে বেশ অগ্রগতি ঘটেছে৷ তবে ২০১৮ সালের নভেম্বরের আগে রকেটটি আকাশে ওড়ার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নাসা৷ গত ৪০ বছরে নাসা এত বড় আকারের ‘হেভি লিফট লঞ্চ ভেহিকেল' তৈরি করেনি৷ প্রথম এর তিনটি সংস্করণ তৈরি করতে প্রায় ১,২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে নাসা অনুমান করছে৷ তবে যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সরকারি ব্যয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্বে রয়েছে, সেই জিএও নাসার এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছে৷ তাদের অভিযোগ, নাসার ‘কনস্টেলেশন' নামের বাতিল হয়ে যাওয়া একটি প্রকল্প থেকে হার্ডওয়্যার নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ নাসা জানিয়েছে, তারা এই অভিযোগের জবাব দেবে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)