মঙ্গল শোভাযাত্রায় রঙিন ও আনন্দমুখর পহেলা বৈশাখ
করোনার কারণে গত দু বছর পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে সীমিত পরিসরে৷ তবে এবার ফিরে এসেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷ উদযাপনেও ফিরেছে বাধাহীন উৎসবের রং৷ দেখুন ছবিঘরে...
নতুন পথে মঙ্গল শোভাযাত্রা
প্রতি বছর শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ ও টিএসটি মোড় ঘুরে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ভিসি চত্বর সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন হয়ে আবার টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। তাই হয়েছে৷
বাঙালির প্রাণের উৎসব
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষ এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। বর্ষবরণের আয়োজনের মূল আকর্ষণ মঙ্গলশোভাযাত্রা।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
করোনার প্রকোপের কারণে ২০২০ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। ২০২১ সালে স্বল্প পরিসরে হয় চারুকলার ভেতরে। এবার অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও ফিরেছে পুরোদমে৷ জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সার্থক হয়েছে আয়োজন৷
পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা
নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় সুন্দরভাবে শেষ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা৷
কিছুটা সীমিত
এবারের আয়োজনকেও অবশ্য ‘সীমিত’ বলা হচ্ছে, কারণ, প্রতি বছর ১০ থেকে ১২টি ভাস্কর্য থাকলেও এবার রাখা হয় মাত্র চারটি। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে শোভাযাত্রায় মুখোশ না পরার পরামর্শও দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে৷
মঙ্গল শোভাযাত্রার সার্বিক আয়োজনে যারা
প্রতি বছর চরুকলা অনুষদই শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এবার সেই দায়িত্ব পালন করেছেন চারুকলার ২২ ও ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
ছায়ানটের বর্ষবরণের ৫২ বছর
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ৫২ বছর পার করেছে এ বছর৷ ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে ছায়নট এ প্রভাতী আয়োজন করে আসছে৷ মাঝে করোনার কারণে অবশ্য দুই বছর এ আয়োজন হতে পারেনি।
মুখে মুখে আলপনা
বর্ষ বরণের উৎসবে যোগ দিতে আসা অনেকেই শিল্পীদের দিয়ে মুখে এঁকে নেন বাহারি সব আলপনা৷
খোঁপায় ফুল
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নিতে আসা অনেক নারীর মাথায় শোভা পাচ্ছিল ফুল৷
‘নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’
বাংলাদেশে বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷ এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রজনীকান্ত সেনের লেখা গানের ‘নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ অংশটুকু৷
বর্ণিল শোভাযাত্রা
বৈশাখী সাজে সেজে রঙবেরঙের বাহারি মুখোশ, শোলার পাখি, টেপা পুতুল হাতে নিয়ে ঢাক-ঢোল-বাঁশি বাজিয়ে হাজরো মানুষ অংশ নেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়৷
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য
১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে ঢাকায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়৷ ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই শোভাযাত্রাকে ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দেয়৷
ময়মনসিং থেকে ঢাকায়
ময়মনসিংহের সৌরভ ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে চলে এসেছেন হাতপাখা বিক্রি করতে৷ প্রতিটি পাখার দাম ১০০ টাকা৷
খাবারের দোকান কম
পবিত্র রমজান মাসে বলে শাহবাগ ও টিএসসি এলাকায় কোনো খাবারের দোকান খোলা ছিল না৷ তবে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে কিছু দোকান খোলা ছিল।
ব্যান্ডেনা
শাহবাগ মোড়ে এক ব্যান্ডেনা বিক্রেতা৷
মাটিকে বাঁচান
মাটি না বাচলে মানুষও বাঁচবে না- এই স্লোগান নিয়ে নববর্ষ উদযাপনের দিনে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সেভ সয়েল বাংলাদেশ’ আন্দোলন৷ ছবিতে অভিনেত্রী, অ্যাক্টিভিস্ট কাজী নওশাবা আহমেদকে দেখা যাচ্ছে৷
নব আনন্দে জাগো’
রাজধানীর রমনার বটমূলে বর্ণাঢ্য আয়োজন শুরু হয় ভোর ঠিক সোয়া ৬টায়। এবার রমনার আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ‘নব আনন্দে জাগো’৷ শুরুতে ভোরের বিভিন্ন রাগে যন্ত্রসংগীত ও একক এবং সম্মেলক গান পরিবেশিত হয়।
বাবা ও মেয়ে
মোহাম্মদপুর থেকে এক বাবা তার মেয়েকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছেন নববর্ষ উদযাপন।
বিদেশিদের অংশগ্রহণ
বরাবরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিদেশি দর্শনার্থীদের দেখা গেছে৷
সেলফি
তিন তরুণীর সেলফি৷
সপরিবারে...
নববর্ষ উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি লেক এলাকায় ঘুরতে বেরিয়েছে একটি পরিবার৷