1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেননি, দাবি ট্রাম্পের

৪ আগস্ট ২০২৩

২০২০ সালে ভোটের ফল পাল্টে দিয়ে অ্যামেরিকার গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার অভিযোগে নিজেকে ‘নির্দোষ' দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

https://p.dw.com/p/4UlVj
সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার এই মামলায় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে হাজিরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার এই মামলায় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে হাজিরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পছবি: Alex Brandon/AP Images

তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থিতা বানচাল করার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার এই মামলায় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে হাজিরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০২৪ সালে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টায় আছেন।

এ দিন আদালতে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। আদালত থেকে বের হয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আজ অ্যামেরিকার জন্য অত্যন্ত দুঃখের দিন। এই মামলা হলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এক নিপীড়ন।''

এ নিয়ে গত এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো আদালতেহাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ট্রাম্প। এর আগে আরো দুটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এর একটি হলো রাষ্ট্রের গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার মামলা। দ্বিতীয়টি হলো অর্থ দিয়ে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করার অভিযোগ।

ওয়াশিংটনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মক্সিলা উপাধ্যায় আগামী ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। ওই দিন ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন তিনি। তবে আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়া এই মামলার কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বলে ট্রাম্পকে শর্ত দিয়েছেন বিচারক।

৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী (স্পেশাল কাউন্সেল) জ্যাক স্মিথ ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো- ভোটের ফল পাল্টাতে নির্বাচনে কারচুপির ভুয়া অভিযোগ তোলা, নির্বাচনের ফল পাল্টানোর জন্য কেন্দ্রীয় ও প্রদেশিক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ, জো বাইডেনের জয় ঠেকাতে ভুয়া ভোটার উপস্থিত করা। অভিযোগের মধ্যে আরো রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্র, মার্কিন নাগরিকদের ভোটের অধিকার নষ্ট করা, সরকারি কাজে বাধাদান। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ট্রাম্পের আইনজীবী জন লৌরা আগাম আপত্তিজানিয়ে বলেছেন, এই মামলায় যে বিপুল পরিমাণ দলিল-দস্‌তাবেজ বা সাক্ষপ্রমাণ তুলে ধরতে হবে, এর জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টমাস উইনডম। তার দাবি, এই মামলা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ও দ্রুত গতিতে শেষ করা উচিত।

এফএসএ/ এসিবি (রয়টার্স)