ভোটে আবার সহিংস কোচবিহার, সকাল থেকে লম্বা লাইনও
ঐতিহ্য বজায় রাখলো পশ্চিমবঙ্গ। লোকসভা ভোটের প্রথম পর্বেই অশান্ত কোচবিহার। তার মধ্যেই ভোটের লম্বা লাইন।
সকাল থেকেই লাইন
কোচবিহারে সকাল সকাল ভোট দেয়ার জন্য বুথে ভিড় জমিয়েছিলেন ভোটদাতারা। রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত উত্তেজনাপ্রবণ এই কেন্দ্রে মানুষ তাড়াতাড়ি গিয়ে তাদের ভোট দিতে চেয়েছেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী গতবার কোচবিহার থেকে জিতেছিলেন।
উত্তপ্ত কোচবিহার
ভোট শুরুর পর থে্কেই একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে। কোথাও মাথা ফাটে বিজেপি-র বুথ সভাপতির। কোথাও তৃণমূলের নেতা ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন। কোথাও মারধর করার অভিযোগ আসে। বাড়ি ভেঙে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ।
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী
প্রথম পর্বের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে কোচবিহারে। এখানে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তারপরেও সহিংসতা
এত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরেও সহিংসতা হয় কী করে? বিজেপি-র অভিযোগ, কেন্দ্রীয়. বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বুথের ভিতরে। বুথের বাইরে গোলমাল হচ্ছে। সারারাত ধরে তৃণমূলের বাইক-বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে, মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, তাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মাথা ফাটছে।
বুথের ভিতরের ছবি
কোচবিহারে একটি বুথের ভিতরের ছবি। এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন মানুষ। প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। তার ফুটেজের উপর সমানে নজর রাখছেন কমিশনের কর্মীরা।
ভোটের লাইনে প্রচুর নারীও
নারী ভোটদাতারাও সকাল সকাল বুথে গিয়ে লবান দিয়েছেন। দ্রুত ভোট দিয়ে তারা ঘরে ফিরতে চান। ফলে সকালের লাইনে মেয়েদের সংখ্যা ছিল যথেষ্ট।
বুথ শান্ত, বাইরে অশান্তি
বুথের ভিতরে লাইন আছে। সেখানে শান্তিতে ভোট হচ্ছে। কিন্তু বাইরে যথেষ্ট উত্তেজনা আছে। কোথাও অস্থায়ী অফিস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও বিজেপি, কোথাও তৃণমূল নেতা আহত হয়েছেন।
হুমকির অভিযোগ
দিনহাটা, শীতলকুচিতে ভোট দিতে গেলে শাস্তি দেয়া হবে বলে কিছু ভোটদাতা অভিযোগ করেছেন। এবিপি আনন্দে ক্যামেরার সামনে কিছু ভোটদাতা বলেছেন, মেয়েদের ভয় দেখানো হয়েছে। বিধবা হওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতার বাড়ির দরজায় বোমা রাখার অভিযোগ।