ভোট-পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত পশ্চিমবঙ্গে
১৪ মার্চ ২০২২রোববার বিকেলে পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হয়েছেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা তপন কান্দু। সদ্যসমাপ্ত পুরসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ঝালদার দুই নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তিনি। ওই পুরসভা এখনো ত্রিশঙ্কু। কংগ্রেসের শক্তি কমাতেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। মঙ্গলবার এলাকায় হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কলকাতালাগোয়া পানিহাটিতে রোববার সন্ধ্যায় খুন হন তৃণমূলের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তিনিও সাম্প্রতিক পুরভোটে জয়ী হয়েছেন। তাকে গুলি করার অপরাধে এলাকা থেকেই এক সুপারি-কিলারকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় অনুপমকে। গুলি করে ওই এলাকাতেই একটি হোগলাবনে লুকিয়ে পড়ে দুষ্কৃতী। কিন্তু পাড়ার লোকেরা তাকে দেখে ফেলে। হোগলাবনে ঢুকে শম্ভুনাথ নামের ওই সুপারিকিলার পোশাকও বদলে ফেলেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার মানুষ বনটি ঘিরে ফেলে। তারপর তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বাইরে বেরোতে বাধ্য হয় শম্ভুনাথ। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। শম্ভুনাথকে কে বা কারা সুপারি দিয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। রোববার দুপুরে এলাকায় তার সংবর্ধনা সভা ছিল। সেখান থেকে ফিরে বিকেলে বেরিয়েছিলেন তপন। তখনই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাঁচির হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ''পুরসভায় কংগ্রেসের শক্তি কমাতেই তপনকে হত্যা করা হয়েছে। শাসকদলের নাম না করলেও সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন নেপাল।''
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। শাসক-বিরোধী সব পক্ষের মানুষই নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু শাসক বরাবরই রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রোববারের দুই খুনের ঘটনার পর ফের রাজনৈতিক হত্যার প্রশ্নটি সামনে এসেছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)