ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী হ্রাস
২০১৮ সালের প্রথম ছয়মাসের চেয়ে ২০১৯ সালে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে আসা শরণার্থীদের ঢল কমেছে৷ এমনই তথ্য জানাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন৷
কতজন শরণার্থী?
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে এসে পৌঁছান ৫৮ হাজার মানুষ৷ এদের মধ্যে সবাই শরণার্থী বা অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ সেই তুলনায়, ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র ৩৭ হাজার ১০০ জন৷
গন্তব্য কোথায়?
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন জানিয়েছে যে, এই বছর ভূমধ্যসাগরপথে ইউরোপে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পছন্দের দেশ গ্রিস৷ সেখানে এসেছেন ১৮ হাজার ৪০০জন৷ এরপর, সেই তালিকায় রয়েছে স্পেন (১৩ হাজার ৩০০জন), ইটালি (২ হাজার ৮০০জন), সাইপ্রাস (১ হাজার ৩০০জন) ও মাল্টা (১ হাজার ৩০০জন)৷
কারা আসছেন এই পথে?
ভূমধ্যসাগরের পথে ইউরোপে এসে পৌঁছেছেন যত শরণার্থী, তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে আফগানিস্তান৷ সেখান থেকে আসা মোট ৪ হাজার ৬০০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০জনের গন্তব্যই ছিল গ্রিস৷ ভূমধ্যসাগরের পথে আসা অন্যদের মধ্যে এরপর রয়েছেন মরক্কো, সিরিয়া, মালি, গিনি, ইরাক, কঙ্গো, ফিলিস্তিন, আইভরি কোস্ট ও অ্যালজেরিয়ার নাগরিকেরা৷
নারী-পুরুষ-শিশু?
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আসা মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশ পুরুষ, ১৮ শতাংশ নারী ও ২৫ শতাংশ শিশুরা রয়েছেন৷
কোন পথে কতজন?
ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে আসার পথ মূলত তিনটি- পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্য পথ৷ এর মধ্যে, ৫৮ শতাংশ বেছে নিয়েছে মধ্যপথটি, যা গিয়ে পড়ে ইটালি ও গ্রিসে৷ দ্বিতীয় স্থানে স্পেনগামী পশ্চিম পথ, তৃতীয় স্থানে সাইপ্রাসগামী পূর্ব পথ৷
সাগরে মরণ
গত কয়েক মাসে শিরোনামে উঠে এসেছে ভূমধ্যসাগর পথে শরণার্থীবাহী নৌকা ও সংশ্লিষ্ট বিপদের খবর৷ প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে, ২০১৮ সালের প্রথম ছয়মাসে এই পথে মারা যান ১ হাজার ২৮৯ জন৷ উল্টোদিকে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৫৮৫৷ তবেকি কমছে ভূমধ্যসাগরপথের প্রতি শরণার্থীদের আগ্রহ?