1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুয়া বিজ্ঞপ্তি, সতর্ক সরকার

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১১ জুন ২০১৮

কোনো সরকারি নির্দেশ, বা বিজ্ঞপ্তি ছিল না৷ তা-ও আসন্ন ঈদ উল ফিতরে পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ালো৷

https://p.dw.com/p/2zIsI
Fake News
ছবি: picture-alliance/Photopqr/L'Alsace/J.F. Frey

বিষয়টিকে আদৌ সহজভাবে নিচ্ছে না কলকাতা পুলিশ৷ কারণ প্রশাসনের কাছে এটা নির্দোষ কোনও রসিকতা বলে মনে হচ্ছে না৷ সরকারি লেটারহেডের অপব্যবহার হয়েছে৷ একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি আধিকারিকের সই নকল করা হয়েছে৷ এবং স্বয়ং রাজ্যপালের নাম নিয়ে জারি করা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি, যার বয়ান এইরকম যে, আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে ১৬ জুন সরকারি ছুটি তো আগেই ঘোষিত হয়েছিল, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১২ থেকে ১৫, আরও চার দিন৷ অর্থাৎ টানা পাঁচদিনের ছুটি৷ নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত রাজ্য সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ ও নাগরিক প্রশাসনিক শাখা, উন্নয়ন পর্ষদ, পুর নিগম এবং রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সব সংস্থায় ওই পাঁচদিন ঈদের ছুটি থাকবে৷

অথচ গোটা ব্যাপারটিই ভুয়া৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারএমন কোনও ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়নি বা ঘোষণা করেনি৷ তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা প্রতীকচিহ্নটি ব্যবহার করে, রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব রাজশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই জাল করে এই ভুয়া নোটিসটিই গত শনিবার থেকে হোয়াটস্‌আপ এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টিকে নিছক ফাজলামি বলে উড়িয়ে দিতেই পারতো৷ কিন্তু দেওয়া যাচ্ছে না, তার কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীদের সমর্থক লোকজনের থেকে, যাঁরা এটিকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সরকারের মুসলিম তোষণ নীতির আরও এক নজির হিসেবে তুলে ধরছিলেন৷ এমনকি যখন জানা গেল বিজ্ঞপ্তিটি আদ্যন্ত ভুয়া এবং তার বক্তব্য নেহাতই মনগড়া, তখনও এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল যে, এটা সত্যি হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না৷ মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে এমনটা হতেই পারে৷ এই যে সম্মিলিত বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং তার এক নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রবণতা আর সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য, এটাই প্রশাসনকে ভাবিয়েছে৷

সে কারণে কলকাতা পুলিশ তৎপর হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ঘোষণা করে, এই বিজ্ঞপ্তি ভুয়া৷ যে বা যারা এই গুজব রটানোর পিছনে রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করবে পুলিশ এবং আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে৷ কিন্তু মূলত যে মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়েছিল, সেই হোয়াটসআপ মেসেজিংয়ের সব বার্তা যেহেতু ‘‌এনক্রিপটেড'‌, প্রেরক এবং প্রাপকের বাইরে কেউ যেহেতু সেটা পড়তে পারে না, অপরাধীকে খুঁজে পাওয়া কি এত সহজ হবে?‌ এই প্রশ্ন নিয়ে ডয়চে ভেলের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সঙ্গে৷ ওরা বললেন, তদন্তের স্বার্থেই এখন বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়, তবে যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ধরে ফেলার ব্যাপারে ওরা রীতিমতো আশাবাদী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান