1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের ভ্যাকসিন মালদ্বীপ, ভুটানে

২০ জানুয়ারি ২০২১

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে ভ্যাকসিন পাঠাতে শুরু করল ভারত। বুধবার সকাল থেকে সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3o9bs
ভ্যাকসিন
ছবি: Leon Neal/Getty Images

বুধবার দেশের বাইরে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করল ভারত। ভুটানকে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখ ভ্যাকসিন। মালদ্বীপকে পাঠানো হয়েছে এক লাখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার রাতেই জানিয়েছিলেন ছয়টি দেশে বুধবার থেকে টিকা পাঠাতে শুরু করবে ভারত। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতি নিয়েছএ বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সেশলস এবং মিয়ানমারে প্রথমে ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত। বাংলাদেশকে দেওয়া হবে বিশ লাখ টিকা। বুধবার রাতে অথবা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের হাতে ভারতের ভ্যাকসিন পৌঁছে যাওয়ার কথা। মঙ্গলবার রাতেই ভারতের ভ্যাকসিন নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছএন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার থেকে কী ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিকে ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে পাঠানো হবে। অর্থাৎ, এর জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে কোনো অর্থ দিতে হবে না।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও টুইট করে ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির কথা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মরিশাসকেও ভ্যাকসিন উপহার দেওয়া হবে। টিকা পাঠানোর সমস্ত কাগজপত্র ওই দেশগুলি এখনো ভারতকে পাঠায়নি। প্রয়োজনীয় কাগজ হাতে এলেই ওই দেশগুলিতে টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মালদ্বীপ পার্লামেন্টের স্পিকার মোহামেদ নাশিদ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির কথা টুইট করে জানিয়েছেন। টুইটে তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে তাঁরা আরো তিন লাখ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছেন। ওই ভ্যাকসিন বাজার মূল্যেই কেনা হবে।

বস্তুত, প্রতিবেশী সমস্ত দেশেই ভারত অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা পাঠাচ্ছে। ভারত-বায়োটেকের টিকা শুধুমাত্র দেশেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বুধবার ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই গোটা দেশে টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক গুণ বাড়ানো হবে। এই মুহূর্তে দেশে মোট টিকা দেওয়ার কেন্দ্র তিন হাজার ষাটটি। দিনে গড়ে একশোজন প্রতিটি সেন্টারে টিকা নিতে পারেন। এই সংখ্যাটাই কয়েকগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত-বায়োটেকের ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই ওই ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)