ভারতের বিশাল জনসংখ্যা আশীর্বাদ, নাকি অভিশাপ?
১১ ডিসেম্বর ২০১০তবে আজ থেকে ২৫ বছর পর এমনটি আর থাকবেনা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ চীনের ‘এক সন্তান' নীতির কারণে ২০৩৫ সালে ভারতে কাজ করতে সমর্থ লোকের সংখ্যা চীনের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে৷ অর্থাৎ বিশ্বে তখন ভারতের অবস্থান হবে শীর্ষে৷
কিন্তু এই বিশাল জনসংখ্যা কি ভারতের অর্থনীতিতে আশীর্বাদ বয়ে আনবে? এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রজত নাগ বলছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে না পারলে এই জনসংখ্যা অভিশাপও হয়ে দেখা দিতে পারে৷
একটি পরিসংখ্যান দিলেই রজত নাগের কথার যথার্থতা বোঝা যাবে৷ ভারতে বর্তমানে শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ৷ যেখানে চীনে প্রায় ৯১ ও কেনিয়ায় ৮৫ শতাংশ৷
বিষয়টি বোধ হয় ভারত সরকারও বুঝতে পেরেছে৷ তাইতো ৬ থেকে ১৪ বছরের সকল শিশুর জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ কিন্তু সরকারের এই পরিকল্পনায় সমস্যা করছে পর্যাপ্ত স্কুল আর শিক্ষকের অভাব৷ এছাড়া আরেকটি সমস্যা হলো পড়শোনা শেষ হবার আগেই স্কুল ছেড়ে দেয়া৷ কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি হরিয়া ভারতিয়া বলছেন, ভারতে স্কুল পর্যায়ে এই ঝরে পড়ার হারটা অনেক বেশি৷
তবে এই জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে অর্থাৎ শ্রমবাজারে ঢোকাতে পারলে ভারতের অর্থনীতির জন্য সেটা হবে আশীর্বাদস্বরূপ৷ কারণ তখন অর্থনীতিতে যোগ হবে প্রচুর বিনিয়োগ আর সঞ্চয়৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল চীনের ক্ষেত্রে, গত শতকের আশির দশকে৷
প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন ভারতি এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনিল ভারতি মিত্তাল৷ তিনি বলেন, যদি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয় তাহলে ভবিষ্যতে তিনি তাঁর কোম্পানিতে ভারত থেকেই দক্ষ লোক নিয়োগ করতে চান৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে এই কোম্পানিতে সারা বিশ্বের প্রায় ত্রিশ হাজার লোক কাজ করছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক