1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের দাবি মার্কিন রিপোর্টে

৫ নভেম্বর ২০২১

ভারতের অরুণাচলে চীনের গ্রাম তৈরি নিয়ে ভারত যে দাবি করেছিল, এবার তা মার্কিন সামরিক বাহিনীর রিপোর্টে প্রকাশিত হলো।

https://p.dw.com/p/42c3T
ভারতীয় সেনা
ছবি: MONEY SHARMA/AFP/Getty Images

সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে অ্যামেরিকার সামরিক বাহিনী একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চীন ভারতের সীমান্তে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে তিব্বত সীমান্তে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ভিতরে ঢুকে চীন একশটি বাড়ির একটি গ্রাম তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। 

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত প্রথম এই দাবি করে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি নিয়ে সরবও হয়েছিল ভারত। ভারতের দাবি ছিল, অরুণাচল সীমান্তে ম্যাকমোহন লাইন পেরিয়ে ভারতের জমিতে চীন একটি গ্রাম তৈরি করেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। তবে চীন কখনো ভারতের দাবি মানতে চায়নি।

অরুণাচলে ভারত-তিব্বত সীমান্তে যে কাল্পনিক বিভাজন রেখা আছে, তার নাম ম্যাকমোহন লাইন। কিন্তু এই কাল্পনিক সীমান্ত নিয়ে ভারত এবং চীনের মধ্যে বিতর্ক আছে। চীন সবক্ষেত্রে এই সীমান্ত মানতে চায় না। যা নিয়ে ষাটের দশকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। সে সময় অরুণাচলে ঢুকে পড়েছিল চীনের সেনা। পরে চীন ফিরে গেলেও লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে একটি সেনা চৌকি বানিয়ে যায়। 

ভারতের অভিযোগ, সাম্প্রতিক কালে ওই অঞ্চলেই চীন ভারতের জমির ভিতর ঢুকে পড়ে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করেছে। স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিবাদ জানায় ভারত। ভারতের দাবি, তিব্বত সীমান্তে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে চীন বড় বড় কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলকে তোয়াক্কা করছে না। চীন অবশ্য বরাবরই অরুণাচলের কিছু এলাকা তাদের অংশ বলে দাবি করে। যা নিয়ে একাধিকবার লড়াই এবং স্ট্যান্ড অফ হয়েছে।

লাদাখ সীমান্তেও ভারত-চীন দ্বৈরথ শেষ হয়নি। প্যাংগং অঞ্চলে দীর্ঘ স্ট্যান্ড অফের পর দুই দেশ আপস মীমাংসায় পৌঁছালেও হট স্প্রিং-সহ আরো কয়েকটি অঞ্চলে এখনো বিতর্ক অব্যাহত। দুই দেশের সেনা ১৩ বার বৈঠকে বসলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা অ্যামেরিকার সামরিক বাহিনীর রিপোর্ট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ভারত। এর ফলে চীনের উপর চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ। 

এসজি/জিএইচ (এনডিটিভি)