ভারতের ঝাড়খন্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন
১৯ জানুয়ারি ২০০৯তবে ৮১টি আসনের বিধানসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি৷ ফলে, নতুন সরকার গড়ার সুযোগ রাখা হয়েছে৷ কেন্দ্রের ইউপিএ জোট সরকারের তিন শরিক দল - জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি'র কোয়ালিশন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিবু সোরেন৷ ২০০৫ সালের নির্বাচনে কোনো দলেরই একক সরকার গড়ার মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলনা৷ শিবু সোরেন এর আগে ছিলেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী৷ দুর্নীতি ও খুনের মামলায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়৷ বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন৷ সংবিধান অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী হবার ৬ মাসের মধ্যেই তাঁকে বিধানসভার সদস্য হতে হয়৷
শিবু সোরেনের পদত্যাগের পর, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয় তিন শরিক দলের মধ্যে৷ শিবু সোরেন তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে চম্পা সোরেনের নাম প্রস্তাব করেন৷ কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কংগ্রেস ও আরজেডি দল৷ আবার আরজেডি মনোনীত প্রার্থীকে পছন্দ নয় জেএমএম-এর৷ বিধানসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়নি বলে বিকল্প সরকার গড়ার চেষ্টা অব্যাহত৷ সোমবার নতুনদিল্লিতে তিন শরিক দলের মধ্যে চলে দিনভর আলাপ-আলোচনা৷
অন্যদিকে, বিধানসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাজ্যে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি৷ উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি৷