ভারতের উদ্যোগে জি২০-র সদস্য হলো আফ্রিকান ইউনিয়ন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩জি২০ শীর্ষবৈঠকে প্রবল করতালির মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন, ''সকলের সমর্থনের পর আমি আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০তে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।''
জি২০ শীর্ষবৈঠকের শুরুর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন। আফ্রিকান ইউনিয়নে ৫৫টি দেশ আছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ''ভারত সবকা সাথ সবকা বিকাশ(সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন)-এর নীতি নিয়ে চলেছে। তাই জি২০-র স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নের নাম প্রস্তাব করেছে। আমার বিশ্বাস, আপনারা সকলেই এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। আপনাদের সহমতিতে বৈঠকের কাজ শুরু হওয়ার আগে আমি আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে স্থায়ী সদস্যের চেয়ারে বসার অনুরোধ জানাচ্ছি।''
এরপরই আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-র স্থায়ী সদস্য হলো। আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কমোরস এবং চেয়ারপার্সেন আজালি আসৌমানিকে মোদীকে ধন্যবাদ দিয়ে তাদের আসনে বসলেন। বস্তুত জি২০ এবার জি২১ হলো।
পরে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এক্স(টুইট) প্ল্যাটফর্মে জানানো হয়েছে, 'গ্লোবাল সাউথের আকাঙ্খার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে জি২০ বৈঠকে।'
গ্লোবাল সাউথ মানে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলিকে ধরা হয়। ব্রিকস বৈঠকে মোদী দাবি করেছিলেন, ভারত এখন গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে।
ডিডাব্লিউর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাবেক আইএফএস অফিসার ও বাংলাদেশে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেছেন, ''চীন তো গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তারা তো আর ইন্নয়নশীল দেশ নয়। ভারতই এক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের কথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সামনে আনছে।''
এই পরিপ্রেক্ষিতে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-র স্থায়ী সদস্য করাটা ভারতীয় কূটনীতির বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছিলেন, তারা মনে করেন, তাদের কণ্ঠস্বর শোনা হয় না, তাদের এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে সামিল করাটা বড় কাজ।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)