ভারতে রুদ্ধদ্বার কোর্টরুমে আরজি কর মামলার বিচার শুরু

সিবিআই তাদের চার্জশিটে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে৷ তাকে কালো প্রিজন ভ্যানে করে প্রবল নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়৷ আদালত চত্বরের মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে ভ্যান ঢুকিয়ে তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়৷

ডিডাব্লিউর চিত্রসাংবাদিক সত্যজিৎ সাউ জানিয়েছেন, ‘‘আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল৷ গত সোমবার চার্জ গঠনের দিন ভ্যানের মধ্যে থেকে সঞ্জয় রায় কিছু কথা বলেছিলেন৷ টিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া সঞ্জয়ের সেই কথা থেকে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়৷ সঞ্জয় সেদিন দাবি করেছিল, তাকে ডিপার্টমেন্ট কথা বলতে বারণ করেছিল৷ এদিন তাই ভ্যানের কাছে কাউকে যেতে দেয়নি পুলিশ৷''

আদালতকক্ষ থেকেও যারা মামলার সঙ্গে জড়িত নন, তাদের বের করে দেয়া হয়৷ রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানি ও সক্ষ্যগ্রহণ হয়৷

নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে

আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতকক্ষে ছিলেন৷ তারা সিবিআইয়ের গাড়িতে করে আসেন৷ প্রথম দিনেই তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়৷ মোট ১২৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে৷ তার জন্য সপ্তাহে চার থেকে পাঁচদিন ধরে এই মামলার শুনানি হতে পারে৷

এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তারা আদালতকক্ষে ঢোকেন৷ প্রথমে বাবা ও তারপর মায়ের সাক্ষ্য দেয়ার কথা৷

নির্যাতিতার বাবা-মা এতদিন ধরে বলে এসেছেন, শুধু সঞ্জয় রায় নয়, আরো মানুষ এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷

প্রথম দিন তিন ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্যগ্রহণপর্ব চলে৷

বিচারপর্ব শুরু হলো

আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে দাবি করছিলেন, আরজি কর কাণ্ডের দ্রুত বিচার করতে হবে৷ এতদিনে সেই বিচার শুরু হলো৷ আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ছিল, এই কাণ্ডের সঙ্গে একাধিক মানুষ জড়িত৷ কিন্তু সেই প্রশ্নের ফয়সালা এখনো হয়নি৷

কিন্তু এখনো পর্যন্ত চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হলো সঞ্জয় রায়৷ এখন শিয়ালদহের আদালতে এই মামলার বিচার শুরু হলো৷ এখানে মামলার রায় দেওয়ার পর উচ্চ আদালতে তার বিরুদ্ধে আবেদন হতে পারে৷ সাধারণত এই ধরনের মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়৷

রুদ্ধদ্বার আদালতকক্ষে বিচার

এই ধরনের বিচারকে বলা হয় ইন-ক্যামেরা বিচার৷ কোনো মামলার বিচার ইন ক্যামেরা হবে নাকি প্রকাশ্য আদালতে হবে তা ঠিক করার অধিকার আদালতের আছে৷ কোনো মামলা খুব সংবেদনশীল হলে গোপনীয়তার অধিকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের মর্যাদা রক্ষার জন্য আদালত ইন ক্যামেরা বিচারের নির্দেশ দেয়৷

তখন সেখানে মিডিয়া বা বাইরের কেউ আদালতকক্ষে থাকতে পারেন না৷

জিএইচ/জেডএইচ