ভারতে ‘বাংলাদেশি জঙ্গি' গ্রেপ্তার
৬ নভেম্বর ২০১৫গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে আহমেদুর রশীদ টুটুল, তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকে কুপিয়ে জখম করে তিন দুর্বৃত্ত৷ সেদিনই শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে৷ দুটি হামলায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ তিন দিন পরই আশুলিয়ার তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় এক পুলিশ সদস্যকে৷ সেই ঘটনায় জড়িত কাউকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি৷
এদিকে শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশীদ টুটুল বলেছেন, দুর্বৃত্তরা হামলা চালানোর পরও মুক্তচিন্তার পক্ষে কাজ করে যাবেন৷ টুটুল এখন কিছুটা সুস্থ৷ ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন৷ আজ (শুক্রবার) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘শুভসকাল বাংলাদেশ৷ শুভসকাল মহাপৃথিবী৷ আবারো আঙুল ছোঁয়া পেলো কী-বোর্ডের৷ এ যেন ঠিক বন্ধুদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার আনন্দ৷ বুদ্ধির মুক্তির লড়াইয়ে, মুক্ত বুদ্ধির লড়াইয়ে আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো৷ সঙ্গে থেকো বাংলাদেশ৷''
তবে বাংলাদেশে ব্লগার, প্রকাশক, শিয়াদের তাজিয়া মিছিল বা পুলিশের ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার না হলেও ভারতে বাংলাদেশি এক সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে৷
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণে দু জন নিহত হয়৷ ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দাবি করে আসছে নিহত দুই ব্যক্তি ছিলেন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি)-এর সদস্য৷ এবার ত্রিপুরায় এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ৷ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ভারতীয় এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন জানিয়ে ত্রিপুরার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধৃত ব্যক্তিও জেএমবির সদস্য বলেই তাদের ধারণা৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন