1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার ধীরে ধীরে কমছে

৩০ জুলাই ২০১১

ভারত অন্তঃসত্তা মহিলাদের জন্যে নতুন স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে৷ দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালের পরে এই প্রথম মাতৃমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে৷ যারা ক্লিনিকে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন, তাদেরকে নগদ অর্থও দেওয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/126Zp
ছবি: AP

ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মহিলা প্রাণ হারান সন্তান জন্মদানের সময়ে৷ জননী সুরক্ষা যোজনা ‘জেএসওয়াই' নামে একটি স্কিম চালু করা হয়েছে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সন্তান জন্মদানের জন্যে ১৪'শ টাকা (প্রায় ৩০ ডলার) নগদ অর্থ দেওয়া হয় মহিলাদের৷ দরিদ্র অন্তঃসত্তা মহিলাদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে স্কিমটি চালু করা হয় ২০০৫ সালে৷ ২০০৫-থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ মহিলা এই স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন৷ ২০১০-১১ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, দশ মিলিয়নেরও বেশি৷ আর এর ফলে মাতৃমৃত্যুর হার শতকরা ১৭ ভাগ কমেছে৷ তবে স্কিমটি তাদের জন্যেই প্রযোজ্য যারা দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে - যাদের বয়স ১৯ বছরের বেশি এবং যারা উপজাতি সম্প্রদায়ের৷

তবে সবাই এই ব্যপারে একমত যে,‘জেএসওয়াই'স্কীমটি তার প্রধান লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে৷ তবে সেই সাথে কেউ কেউ বলছেন, স্বাস্থ্য সেবার মান এবং পরিমাণ এখনও যথেষ্ট নয়৷ সেফ মাদারহুড ইউ কে-র পক্ষে হোয়াইট রিবন অ্যালায়েন্সের পরিচালক ব্রিগিড ম্যাককনভিল বলেছেন, ‘‘অনেক সময় মহিলারা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের বারান্দার ওপরেই সন্তানের জন্ম দেন৷ কেননা খালি বেড পাওয়া যায় না এবং অনেক সময় মায়েদের যত্ন নেওয়ার জন্যে যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সও পাওয়া যায় না৷ কিন্তু তার পরেও, তারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান, কেননা তারা নগদ অর্থ পান সেখান থেকে৷'' তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে মায়েদের যাওয়ার হার উঁচু হলেও সেখানকার মান এখনও নিচু৷ তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটি খুবই চমৎকার৷''

ভারতের পাবলিক হেল্থ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. সঙ্গীতা ভট্টাচার্য বলেন, সন্তান জন্মদানের ঠিক দুইদিনের মধ্যে যেকোন বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই জন্মদানের পরে অন্তত ৪৮ ঘন্টা তাদের হাসপাতালে থাকা উচিৎ৷ কিন্তু বেডের স্বল্পতার কারণে অনেক মহিলাকেই সন্তান জন্মদানের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক