কয়লা খনি কেলেঙ্কারি
৮ জুন ২০১২কয়লাখনির বেসরকারিকরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই৷ কথিত এই দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ৪টি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করবে সিবিআই৷ এই চারটি রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড৷ খতিয়ে দেখা হবে বেসরকারি কোম্পানিগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির সমঝোতা চুক্তিপত্রের বিভিন্ন দিক ৷
যে ২২০টি বেসরকারি কোম্পানিকে কয়লাখনি বণ্টন করা হয়, তার বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই৷ পরীক্ষা করে দেখা হবে, বণ্টন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ন্যায্য ছিল কিনা৷ স্ক্রিনিং কমিটিগুলির সুপারিশে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছিল কিনা এবং বাজার দামের চেয়ে কম দামে তা দেয়া হয়েছিল কিনা৷ এই কাজের জন্য ১৪টি ছোট দল গঠন করা হয়৷ অগাস্টের মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট সিবিআই জমা দেবে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন সিভিসির কাছে৷ প্রাথমিক রিপোর্ট যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আদেশ দেবে সিভিসি৷
২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে দেশের কয়লাখনি নিলামের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে কয়লা খনি বণ্টন করা হয় অনেক কমদামে৷ ফলে সরকারের লোকসান হয় প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা – এমনটাই অভিযোগ৷ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের এই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি, দুর্নীতি বিরোধী আন্না টিম ও নাগরিক সমাজ৷ যেহেতু ঐ সময়ে কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে৷
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভগ্নাংশ যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন৷ উত্তরে আন্না টিম বলেছে, সেটার জন্য তো নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া চাই৷ দ্বিতীয়ত অভিযোগ আন্না টিমের নয়, সাংবিধানিক সংস্থা সিএজির৷ আইনমন্ত্রী সলমন খুর্শীদ বলেন, আন্না টিমের উদ্দেশ্য লোকপাল বিলে তারা যা যা চাইছেন, তা রাখতে হবে৷ নাহলে এইভাবে একটার পর একটা অভিযোগ আনা হবে৷ সরকার এর কাছে মাথা নোয়াবে না৷ তবে সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা অস্বীকার করছে না৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন