1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় টাকার পড়তি বিনিময় মূল্য

২২ মে ২০১২

আন্তর্জাতিক বাজারেও ভারতীয় টাকার বিপর্যয় অব্যাহত৷ পেট্রোপণ্যের আমদানির জন্য ডলারের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এবং ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ না করা এবং ইউরো সংকট এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷

https://p.dw.com/p/14zyu
ছবি: AP

গত দু সপ্তাহ ধরে ভারতীয় টাকার দাম ডলারের তুলনায় ক্রমশ কমে আসছে৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতে সাধারণত যেটা হয় যে, টাকার দাম পড়তে শুরু করলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজের মজুত সঞ্চয় থেকে ডলার বাজারে ছেড়ে টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করে৷ লক্ষণীয়, এখনো পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেটা করেনি৷

দ্বিতীয়ত, পেট্রোপণ্য আমদানিকারী সংস্থাগুলির কাছে ডলারের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ফলে টাকার দাম পড়ে যাচ্ছে৷ বিদেশি মুদ্রা বিনিময়কারী সংস্থাগুলির কাছে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়৷ কারণ এরাই পেট্রোপণ্য আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে ডলার দিয়ে থাকে৷ ডলারের বিরাট চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি বিনিময় বাজার৷ তাই এই অবমূল্যায়ন৷

Pranab Mukherjee
অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সরকারি ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেনছবি: AP

অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতে, ইউরো সংকটের পাশাপাশি ব্রাজিলের মত উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার জেরেই এই ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ মুদ্রার দাম বাড়তে না দিয়ে ব্রাজিল বিনিময় হার কার্যত বেঁধে রেখেছিল৷

এক্ষেত্রে ভারতের করণীয় কী? বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাশনবিশ এই প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বললেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ না করলে ফল খারাপ হবে৷ পেট্রোপণ্যের আমদানি বিল বাড়বে৷ নিশ্চিতভাবে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ অপর দিকে ভারতের রপ্তানি আয় বাড়বে৷ তবে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র মার খাবে৷ কারণ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের বেশিরভাগ উপকরণ আমদানি করতে হয়৷ ফলে দেশে তৈরি পণ্যের দাম বাড়বে৷

অর্থনীতিবিদ খাশনবিশ মনে করেন, ইউরো সংকট মোচনে জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপ যদি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে, তাহলে অবস্থাটা একটু ভাল জায়গায় যাবে৷

বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে অধ্যাপক খাশনবিশ মনে করেন, ভারত যেসব পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করে, সেইসব পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় ডলারে৷ কাজেই ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে৷ কিন্তু লক্ষণীয় – গত কয়েকদিন ভারতের মুদ্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের মুদ্রারও অবমূল্যায়ন হচ্ছে৷ কারণ বাংলাদেশ ডলার আনে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে৷ কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র আমদানি করে ভারত থেকে৷ তাই ভারতীয় টাকার সঙ্গে বাংলাদেশ টাকার বিনিময় মূল্য বাঁধা আছে৷ ভারতীয় মুদ্রার আপেক্ষিকে যদি বাংলাদেশি মুদ্রার দাম বাড়তে থাকে তাহলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য