1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাঙতে চলেছে তৃণমূল?

২ নভেম্বর ২০২০

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট৷ তার আগে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙনের লক্ষণ৷ এবার নজরে মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷

https://p.dw.com/p/3klBi
ফাইল ছবিছবি: Ians

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ, প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এবং খাতায়–কলমে এখনও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কি দল ছাড়ছেন?প্রশ্ন উঠছে, কারণ ইদানীং সমাজসেবামূলক অনেক কাজই শুভেন্দু করছেন, কিন্তু দলীয় প্রতীক ছাড়াই৷ সে নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা জোরদার, যে ভোটের আগে ভাঙন ধরবে তৃণমূল কংগ্রেসে৷ মুকুল রায়, যিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কার্যত ডান হাত ছিলেন, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ফের একজন বড় মাপের নেতা শিবির বদলাবেন বলে ‘খবর’৷ এরকমও শোনা যাচ্ছে, যে শুভেন্দু অধিকারী আলাদা দল গড়বেন৷ শেষ পর্যন্ত যা–ই ঘটুক, মেদিনীপুর–জঙ্গলমহলের দাপুটে এই নেতার সঙ্গে দলের সম্পর্কে যে তিক্ততা এসেছে, তা এখন আর গোপন থাকছে না৷

ভাইপো‌র নেতৃত্বে রাজনীতি করতে বেশিদিন পারবেন না: সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি যুব মোর্চা নেতা

তৃণমূল নেতা, কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অতি সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে রবীন্দ্রনাথ উদ্ধৃত করে কটাক্ষ করেছেন— ‘‘রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী৷’’ অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জিই যে তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র নেতা, বাকিরা তাঁর মহিমাতেই মহিমান্বিত, সেটা বোঝাতে চেয়েছেন হাকিম৷ শুভেন্দুও তার পাল্টা মন্তব্যে খোঁচা মেরে বলেছেন— ‘‘প্যারাস্যুটে নামার মতো বা লিফটে ওঠার মতো রাজনীতি আমি করিনি৷ সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে রাজনৈতিক জীবন তৈরি করেছি!’’ শুভেন্দুর ইঙ্গিত স্পষ্টতই হঠাৎ রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা অভিষেক ব্যানার্জির দিকে, যিনি মমতা ব্যানার্জির ভাইপো৷

বস্তুত মুকুল রায় এই একই কারণে দল ছেড়েছিলেন বলে শোনা যায়৷ যে তিনি কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও স্রেফ ভাইপো হওয়ার সুবাদে অভিষেক বেশি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছিলেন৷ সেই একই কারণ শোনা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার সম্ভাবনার মূল কারণ হিসেবে৷ বিজেপি খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে তৎপর৷ দলের যুব মোর্চার নেতা সৌমিত্র খাঁ শুভেন্দুর উদ্দেশে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার৷ সে ব্যাপারে সৌমিত্র ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘তার যে রাজনৈতিক ইতিহাস, বা তার যে রাজনৈতিক লড়াই, তাতে তিনি একজন আনকোরা ভাইপোর নেতৃত্বে রাজনীতি করতে বেশিদিন পারবেন না৷ তাই তাকে আহ্বান জানিয়েছি৷ ভারতীয় জনতা পার্টি অনেক বড় জায়গা৷ সেখানে উনি হয়ত বড় নেতৃত্ব দিতে পারবেন৷’’

কিন্তু মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও তো তেমনটাই ভাবা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত বিজেপি কি তাকে পাওয়ার পর যথেষ্ট রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারল? সৌমিত্র খাঁর বক্তব্য, অবশ্যই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক বিচার–বুদ্ধি, তাঁর অভিজ্ঞতা বিজেপির কাজে লেগেছে৷ আর শুভেন্দু অধিকারী সম্বন্ধে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জঙ্গলমহলেই হোক, বা গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে হোক, তাঁর একটা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷ সেই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিজেপির তো বটেই, পশ্চিমবাংলার মানুষের উপকার হবে৷’’