1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড়দিনে শুধু একটা টুথপেস্ট চাই

২০ ডিসেম্বর ২০১০

বড়দিনের উৎসবে উপহার এক অপরিহার্য অঙ্গ৷ ইউরোপেতো অবশ্যই পৃথিবীর সব প্রান্তেই বড়দিন এক বিশেষ উৎসব৷ সেই উৎসবে কি উপহার চান আপনি? টুথপেস্ট নাতো!

https://p.dw.com/p/Qg56
বড়দিন, ইউরোপ, উপহার, টুথপেস্ট, জার্মানি, ডর্টমুন্ড, xmas, europe, gifts, tooth paste, germany, dortmund
ছবি: AP

বড়দিনের উপহারের তালিকায় টুথপেস্ট৷ না, এটা কিভাবে হয়৷ দুনিয়ায় এত এত উপহার সামগ্রী থাকতে টুথপেস্ট কেন? কি জানি, এর ব্যাখ্যা এ যুগে দেয়া কঠিন৷ তবে শত বর্ষ আগে এই টুথপেস্টই দেখা গেছে অনেকের বড়দিনের প্রত্যাশার তালিকায়৷

২০১০ সালের বড়দিনকে ঘিরে জার্মানির ডর্টমুন্ড শহরে শুরু হয়েছে এক প্রদর্শনী৷ বিষয় বড়দিন উপহারের একাল-সেকাল৷ তবে, কাগুজে নামটা ভিন্ন, ‘‘... আমাদের জন্য অনেক ভালো কিছু নিয়ে এসো''৷

এই প্রদর্শনী থেকেই জানা যাচ্ছে, ইউরোপের দেশগুলোতে বড়দিনের উপহার দেয়া-নেয়াটা চলে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়৷ অথচ বিশ্বের অন্য অনেক দেশে কিন্তু বড়দিনের বিশেষ উপহারটা দেওয়া হয় ২৫ ডিসেম্বর সকালে৷

বড়দিন, ইউরোপ, উপহার, টুথপেস্ট, জার্মানি, ডর্টমুন্ড, xmas, europe, gifts, tooth paste, germany, dortmund
বড়দিনের প্রস্তুতি চলছেছবি: DW

শুধু তাই নয়, জার্মানিতে উনিশ শতকের শেষ অবধি সারা বছরের উপহার দেয়া-নেয়াটা ছিল মূলত বড়দিনকে কেন্দ্র করেই৷ তারও আগে ভালো ব্যবহারের শিশু-সন্তানকে উপহার দেওয়ার প্রচলন ছিল ইউরোপের এই হৃদয়ে৷ সেটা সেন্ট নিকোলাস নিয়ে আসতেন, ৬ ডিসেম্বরে৷

ডর্টমুন্ডের প্রদর্শনীতে গত শতক থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বড়দিনের উপহারের ১০০ তালিকা তুলে ধরা হয়েছে৷ ১৮৯৯ সালে এক তরুণী চেয়েছিল তার পুতুলের জন্য পোশাক, আর নিজের জন্য টিউবে ভরা টুথপেস্ট৷ কেননা, তখন এই টুথপেস্টের গুরুত্ব ছিল অন্যরকম৷

তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বড়দিনের উপহারেও খানিকটা পরিবর্তন এসেছে৷ সেসময়কার শিশুদের উপহারের তালিকায় ছিল একটি উষ্ণ টুপি আর স্কুলের জন্য নোটবুক৷ অবশ্য ষাটের দশকে তরুণীদের বড়দিনের পছন্দ গিয়ে দাঁড়ায় হাঁটু অবধি লম্বা স্কার্টে গিয়ে৷

ডর্টমুন্ডের প্রদর্শনীতে এযুগের উপহার তালিকারও খানিকটা নমুনা রয়েছে৷ আজকাল সবার প্রত্যাশিত উপহারগুলো বেশ দামি হয়ে উঠছে৷ অথচ, শত বর্ষ আগের শিশুরা এমন উপহার কল্পনাও করতো না৷ কিন্তু সময় যে, বদলে গেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক