ব্লিংকেন-মাস বৈঠক, আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১আফগানিস্তানে তালেবান তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণার পর এই বৈঠক হলো। জার্মানিতে গিয়ে ব্লিংকেন এই বৈঠক করেছেন। সেখান থেকে ইইউ-র বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তারা ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা চলে আসার পর এখনো বিভিন্ন দেশের প্রচুর মানুষ সেখানে আছেন। তালেবান তাদের নিজেদের দেশে ফিরতে দেবে বলেছে। এমনকী বৈধ কাগজপত্র থাকলে আফগানদেরও বিদেশে যেতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে। তালেবান যাতে কথা রাখে, তা নিশ্চিত করতেই ব্লিংকেন-মাস বৈঠক করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
কী বলেছেন ব্লিংকেন
হাইকো মাসের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। তারপর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ও বেশ কয়েকটি ইইউ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে তারা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। তারপর মাস বলেছেন, ''তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইছে। মান্যতা চাইছে। যে কোনো ধরনের মান্যতা, যে কোনো ধরনের সমর্থন তাদের অর্জন করে নিতে হবে।''
অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে যে, তারা তালেবান চাপের কাছে নতিস্বীকার করে আফগানদের চার্টার বিমানে করে নিজেদের দেশে নিয়ে আসছে না। এই আফগানরা গত ২০ বছর অ্যামেরিকাকে প্রচুর সাহায্য করেছে। ব্লিংকেন বলেছেন, ''আমরা আমাদের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই আফগানদের বিমানে করে আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসতে চাইছি। আমরা সকলকে বলেছি, তালেবানকে স্পষ্টভাষায় জানিয়েছি, চার্টার বিমানগুলিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড়তে দিতে হবে এবং আফগানদের বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র দিতে হবে।''
মাস কী বলেছেন
মাস জানিয়েছেন, ''অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারে সব গোষ্ঠীকে নেয়া হয়নি। আরো আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়া ও দেশের স্থায়িত্বের জন্য এটা উপযুক্ত বার্তা নয়। মাস বলেছেন, ''তালেবানের বোঝা উচিত, তারা যদি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একঘরে হয়ে থাকে, তাতে তাদের স্বার্থসিদ্ধি হবে না। আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া তারা স্থায়িত্বের দিকে যেতে পারবে না।''
কেন এই বৈঠক
মাস আগেই জানিয়েছিলেন, তালেবানের প্রতি কী মনোভাব নেয়া হবে, তা ঠিক করতেই বৈঠক হবে। মাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''তালেবান ক্ষমতায় এসেছে বলে আফগান জনগণকে দোষ দেয়া ঠিক হবে না। আন্তর্জাতিক দুনিয়া তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে, সেটাও ঠিক নয়।''
জার্মান কূটনীতিকরা বলেছেন, আফগানিস্তানে ত্রিমুখী মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। ক্ষুধা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য না পাওয়া।
মাসের বক্তব্য, ''তালেবান নতুন সরকার যদি ঠিকভাবে চালাতে না পারে, তা হলে অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। তার ফলে প্রবল মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে।'' এভাবেই আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছন মাস। সহমত ব্লিংকেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)