ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে হাজার কুকুরের প্রতিবাদ

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে ‘ইউরোপের নাগরিক’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে পাশে নিজের কুকুরটাকে ধরে আছেন একজন বিক্ষোভকারী৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে বিদ্রুপাত্মক নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায় লন্ডনে কুকুর নিয়ে পদযাত্রায়৷ একটি কুকুরের গলার সঙ্গে বেঁধে রাখা প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘ব্রেক্সিট ঘেউ ঘেউ করছে’৷

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে পশু চিকিৎসক ও গৃহপালিত পশুর খাবারের সংকট দেখা দেবে– এই যুক্তি দেখিয়ে তার বিরোধিতা করেন বিক্ষোভকারীরা৷

ব্রেক্সিটে নিজেদের ক্ষতির বিষয়গুলো তুলে ধরে এর পক্ষের তৎপরতাকে উন্মাদের কার্যকলাপ আখ্যায়িত করা হয় এই কর্মসূচিতে৷

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ২০১৬ সালে গণভোটের প্রচারে ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নেওয়া রাজনীতিকসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ধিক্কার জানানো হয় এই পদযাত্রায়৷ যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ‘পি স্টেশন’ বানানো হয় ব্রেক্সিট সমর্থকদের ছবি রেখে, সেখানে কুকুরগুলোকে মূত্র ত্যাগে উৎসাহিত করা হয়৷

গণভোট সামনে রেখে ব্রেক্সিটের পক্ষের শিবিরে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজে৷ এই দুজনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিট সমর্থকের ছবি উপর কুকুরগুলোকে প্রস্রাব করিয়ে ধিক্কার জানানো হয় তাঁদের৷

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বন্ধ করতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড লাগানো হয় কুকুরের শরীরে৷

সমগ্র অস্তিত্বজুড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এই বার্তা দিতেই নিজের ও প্রিয় কুকুরের শরীরজুড়ে জড়ানো হয়েছে ইইউ’র পতাকা৷

লন্ডনে ব্রেক্সিটবিরোধী এই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নামেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ কর্মসূচির মধ্যে কুকুর কোলে অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বিভাগের পরিচালক ছিলেন৷

ব্রেক্সিট বন্ধের দাবিতে কুকুর নিয়ে পদযাত্রা শেষ হয় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট চত্বরে গিয়ে৷