1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট চুক্তির কোনো আশা দেখছে না ইইউ

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এক মাসের মধ্যে ব্রিটেনের সঙ্গে সমঝোতার কোনো আশা দেখছেন না ইইউ মধ্যস্থতাকারী বার্নিয়ে৷ মঙ্গলবার ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3PWH1
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ব্রেক্সিট মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে
ছবি: Reuters/Y. Herman

ব্রেক্সিট চুক্তির প্রশ্নে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে শেষ লগ্নে বোঝাপড়ার সম্ভাবনার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ ব্রিটিশ সরকার আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার কোনো স্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করে নি৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন৷ ব্রিটেন ‘লোক দেখানো' আলোচনার ভান করছে বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন৷ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে তাঁরা ব্যাকস্টপ ছাড়া ব্রেক্সিট চুক্তি মেনে নেবেন না৷ উপযুক্ত কারণ থাকলে পার্লামেন্ট অবশ্য ব্রেক্সিটের সময়সীমার আবেদন বিবেচনা করতে প্রস্তুত৷

এই অবস্থায় ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে বলেছেন, আগামী ১৭ ও ১৮ই অক্টোবর ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বোঝাপড়া সম্পর্কে আশাবাদের কোনো কারণ নেই৷ তাঁর মতে, ব্রিটিশ সংসদ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে আইন প্রণয়ন করলেও তা কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ ভবিষ্যতে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির পূর্বশর্তও তুলে ধরেন বার্নিয়ে৷ টেরেসা মে সরকারের সঙ্গে এই প্রশ্নে ইইউ-র সব বোঝাপড়া মেনে চললে তবেই এমন চুক্তি সম্ভব হতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷

ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিলতা গোটা প্রক্রিয়াটিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে৷ সরকার সংসদ মুলতুবি রেখেছে৷ সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে একাধিক আদালতে সংঘাত চলছে৷ স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত সংসদ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করায় আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টির ফয়সালা হবে৷ ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের আদালত অবশ্য সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট স্কটিশ আদালতের রায় বহাল রাখলে সরকারকে অবিলম্বে সংসদের অধিবেশন ডাকতে হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এই অবস্থায় বিরোধী পক্ষ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ সরকারের নিজস্ব ‘অপারেশন ইয়েলোহ্যামার' নথিপত্রকে সম্বল করে তারা ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে৷ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখনো ‘যে কোনো মূল্যে' ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ একমাত্র তিনিই ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়া সম্পর্কে আশাবাদ প্রকাশ করে চলেছেন৷

সেই বোঝাপড়ার অঙ্গ হিসেবে শুধু আয়ারল্যান্ডের জন্য আলাদা করে এক ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার সম্ভাবনাও উঠে আসছে৷ অর্থাৎ ব্রেক্সিট চুক্তির আওতায় ব্রিটেনকে সামগ্রিকভাবে ইইউ-র বাণিজ্যিক কাঠামোর মধ্যে না রেখে শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর করার পুরানো প্রস্তাবকে সমাধানসূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ তবে ব্রিটিশ সরকারের জোটসঙ্গী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিইউপি দল এখনো ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিভাজনের বিরোধিতা করছে৷ উল্লেখ্য, দ্য টাইমস সংবাদপত্র এই প্রশ্নে ডিইউপি দলের নমনীয়তার দাবি করেছিল৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী আয়ারল্যান্ড সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়াতে তারা ইইউ-র কিছু নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে রাজি হয়েছিল৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)