1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট কার্যকরের মেয়াদ বাড়াবে ইইউ

১০ এপ্রিল ২০১৯

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে'র আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা বাড়াতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আজ বুধবার ব্রাসেলসের জরুরি সম্মেলন থেকে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3GXwV
Brüssel Europäischer Rat | Donald Tusk
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Economou

শুক্রবারের চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরের ঝুঁকি এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ ব্রাসেলসে আজ জরুরি সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ নেতারা৷ তার আগে জোটের বড় দুই শক্তি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সাথেও দেখা করেছেন মে৷

এদিকে বুধবারের বৈঠকে মে'র আবেদনের পক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেই আভাস মিলছে৷ ব্রেক্সিট কার্যকরে দ্বিতীয় দফা সময় বাড়াতে পারে জোটটি৷ তবে জুড়ে দেয়া হতে পারে বেশ কিছু শর্ত৷ মে ১২ এপ্রিলের পরিবর্তে ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানালেও সেটি এক বছরের জন্য বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ যার মেয়াদ হবে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত৷  ইইউ কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে রয়টার্স৷ তবে এক্ষেত্রে লন্ডনে ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা দূর হলে মেয়াদের আগেই ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে ব্রিটেন৷

এদিকে ব্রাসেলসের সম্মেলনের আগের দিন মে'র সাথে বৈঠকে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ম্যার্কেল ও মাক্রোঁ একমত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি৷ তবে শর্তসাপেক্ষে ব্রিটেনকে  ব্রেক্সিট কার্যকরে আরেক দফা সময় দেয়া হচ্ছে, জরুরি সম্মেলনের জন্য তৈরি অগ্রিম একটি খসড়ায় এমন কথার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স৷ ‘‘যুক্তরাজ্যকে ইউনিয়নের অর্জনকে ধারণ করতে হবে এবং ইউনিয়নের লক্ষ্য বিচ্যুত হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে,'' বলা হয়েছে খসড়ায়৷ যদিও এখনও সদস্য হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে-কোনো সিদ্ধান্তে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা যুক্তরাজ্যের হাতে রয়েছে৷ খসড়ায় ব্রেক্সিট কার্যকরে সময়সীমা বৃদ্ধির জায়গাটি খালি রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স৷

এদিকে ম্যার্কেলের পার্লামেন্টারি গ্রুপের ইইউ বিষয়ক সহকারী মুখপাত্র ডেটলেফ সেইফ বলেছেন অল্প সময়ের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি তেমন কোনো ফল বয়ে আনবে না৷ ‘‘প্রতি ছয় সপ্তাহে একবার ইউরোপীয় কাউন্সিলে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আসার কোনো মানে হয় না,'' বলেন তিনি৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেকজন কূটনীতিক বিষয়টিতে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘ব্রিটেনের সিদ্ধান্তে মানুষ ক্লান্ত আর হতাশ হয়ে পড়ছে, কিন্তু এ নিয়ে কিইবা করার আছে?'' ইইউ যুক্তরাজ্যকে খাদের কিনারায় ফেলে দিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

এমন অবস্থায় দিনের শেষভাগে শুরু হতে যাওয়া ব্রাসেলসের সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যের জন্য আরেক দফা সময় না বাড়ালে শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টিক্যাল ফিফটি বা ব্রেক্সিট কার্যকর হবে৷ আর এক্ষেত্রে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে হবে, যা দেশটির জন্য বিরাট অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি করতে পারে৷

এফএস/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান