ব্রিটেন কি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকতে চায়?
২৫ জুন ২০১৫ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের শেষ সম্ভাব্য রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে জার্মানিকে৷ এছাড়াও এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে৷ রানি এলিজাবেথ বার্লিনে তাঁর ভাষণে ইউরোপের বিভাজনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন৷ অর্থাৎ ২০১৭ সালে প্রস্তাবিত গণভোটে তিনি কার্যত ব্রিটিশ ভোটারদের প্রতি একটি বার্তা দিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন অনেকে৷ সোশ্যাল মিডিয়াও ব্রিটেনের রানির জার্মানি সফর নিয়ে সরগরম৷
ডাচ সাংবাদিক মিশিয়েল ভিলেমস লিখেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যে ঢুকে রানি বিভাজনকে ‘বিপজ্জনক' আখ্যা দিলেন৷
একই সুরে সুর মিলিয়ে কেন নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, কুইন ‘ব্রেক্সিট' বা ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ সংক্রান্ত বিতর্কে নিজস্ব মতামত রাখলেন বলে মনে হচ্ছে৷ জার্মানিতে তিনি ইউরোপীয় ঐক্যের উপর জোর দিলেন৷
রানিকে ব্যবহার করে ব্রিটেনের সরকারই ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য সওয়াল করছে বলে সন্দেহ করছেন এক টুইটার ব্যবহারকারী৷
বার্লিনে বুধবার রানির জন্য আয়োজিত ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনেও কি তিনি ইউরোপীয় ঐক্যের বার্তা দিতে চলেছেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন মার্ক জনস্টন৷
এবারের ইইউ সম্মেলনে অন্যায্য দাবি করতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ এমন প্রেক্ষাপটে সোনি কাপুর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘অন্যায্য, অকৃতজ্ঞ ও অযৌক্তিক হয়ে আজ রাতে ব্রিটেন কি ইইউ-র অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে চলেছে?''
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ