1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেন-ইইউ সমঝোতার গ্যারান্টি নেই

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ব্রাসেলস-এর শীর্ষ বৈঠকে এবার ‘ব্রেক্সিট' দৃশ্যত উদ্বাস্তু সংকটের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে৷ ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক কিন্তু বলেছেন, ব্রিটেনের সঙ্গে সমঝোতা হবার কোনো গ্যারান্টি নেই৷

https://p.dw.com/p/1HxEC
Belgien EU Kommission Flaggen Großbritannien und Europa
ছবি: Reuters/Y. Herman

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে নিভৃত আলাপ-আলোচনার পর টুস্ক বুধবার সন্ধ্যায় এই মন্তব্য করেন – যদিও বৃহস্পতিবারেও আলোচনা চলবে৷ টুস্ক তাঁর নিজের টুইটে বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য হলো এ সপ্তাহেই সমঝোতায় পৌঁছানো৷

ক্যামেরন অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘রি-নেগোসিয়েশন' – যার অর্থ ব্রিটেনের ইউ সদস্যতার শর্তাবলী নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনা – সেই রি-নেগোসিয়েশনের চারটি দফাতেই নাকি ‘‘ভালো প্রগতি'' অর্জিত হয়েছে৷ ক্যামেরনের চোখ স্বভাবতই ২০১৭ সালের গণভোটের দিকে, যে গণভোটে ব্রিটেনের মানুষ স্থির করবেন, ব্রিটেন ইইউ-তে থাকবে নাকি থাকবে না৷ ক্যামরনের অবস্থান হলো, যদি ইইউ-এর সঙ্গে রি-নেগোসিয়েশন সফল হয়, একমাত্র সেক্ষেত্রেই তিনি ব্রিটেনের ইইউ-তে থাকার সপক্ষে অভিযান করবেন৷ এবং ক্যামেরন যে এ ব্যাপারে আন্তরিক, তার প্রমাণ বিগত কয়েক মাসে তাঁর যাত্রার নির্ঘণ্ট, স্কাই নিউজ যে-রকম দেখিয়েছে৷ গত ন'মাসে ক্যামেরন ইইউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কোথায় কোথায় গেছেন, তারই একটা ফিরিস্তি৷

ব্রিটেনের যে চারটি শর্ত নিয়ে আলাপ-আলোচনা, সেগুলি হলো (১) সার্বভৌমত্ব, অর্থাৎ ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘‘ক্রমেই আরো ঘনিষ্ঠভাবে সংঘবদ্ধ হওয়া'', বা তথাকথিত রাজনৈতিক ইউনিয়নে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যের ব্যতিক্রম হতে চায়; (২) ইইউ নাগরিকদের মুক্ত বিচরণ ও অবস্থান, ও সেই সঙ্গে ওয়ালফেয়ার পাওয়ার অধিকার: এক্ষেত্রে ব্রিটেন ইইউ-এর অন্যান্য দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের প্রথম চার বছর কোনো সামাজিক ভাতা দিতে চায় না, অথবা ধাপে ধাপে দিতে চায়; (৩) ব্রিটেন চায় ইউরোজোনের সিদ্ধান্তসমূহে অ-ইউরো দেশগুলির মতামত শোনা হোক; (৪) ব্রিটেন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো ‘বিজনেস ফ্রেন্ডলি' হয়ে উঠুক, ইইউ-এর অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা বাড়ুক৷

ম্যার্কেলের সমর্থন

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শীর্ষ বৈঠকের আগেই ক্যামেরনের প্রতি তাঁর পরোক্ষ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে, ‘‘ডেভিড ক্যামেরনের মতো আমিও বিশ্বাস করি যে, ইইউ-তে আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো, অপরদিকে আমলাতন্ত্র কমানো প্রয়োজন৷ (ব্রিটেনের মতো) জার্মানিও অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷'' এবার ইইউ নেতৃবর্গ ব্রাসেলস-এর ‘ব্রেক্সিট শীর্ষবৈঠকে' ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার সম্পর্কে ব্রিটেনের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন৷

ব্রাসেলস শীর্ষবৈঠকে যে ম্যার্কেলের নিজের (রাজনৈতিক) ভাগ্য নির্ধারিত হবে, তা আর কেউ ভাবছেন না, কেননা ব্রেস্কিট-এর চাপে উদ্বাস্তু সংকটের প্রসঙ্গটাই কিছুটা ধামাচাপা পড়ে গেছে৷ এছাড়া বুধবার আংকারায় প্রাণঘাতী বোমা সন্ত্রাসের পর তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলুর ব্রাসেলসে আসছেন না – কাজেই ম্যার্কেলের ‘ইউরোপীয় সমাধানের' এক বড় অংশীদার বাদ পড়ছেন৷ সব সত্ত্বেও ম্যার্কেলকে ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মহাসচিব করে নিউ ইয়র্কে পাঠানো – নিউ ইয়র্ক টাইমস যেমন প্রস্তাব দিয়েছে – তাতে অনেকেই রাজি নন৷ হানেস ক্ল্যোপার যেমন টুইট করেছেন, ‘‘(ম্যার্কেলকে) বাদ দিয়ে ইইউ-এর কথা ভাবতে ভয় করে!''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

ম্যার্কেলকে বাদ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কি সত্যিই ভাবা যায়? মতামত জানান, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য