সমর্থকদের ‘পতাকাযুদ্ধ’
৫ জুন ২০১৪বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশের পতাকা উড়ানোর চর্চা বাংলাদেশে নতুন নয়৷ পতাকার আকার নিয়ে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতাও দেখা যায়৷ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ রাগিব হাসান এই চর্চাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পতাকাযুদ্ধ' হিসেবে৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আসছে বিশ্বকাপ, আর তার সাথে শুরু হয়েছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পতাকাযুদ্ধ৷ কে কার চাইতে বড় পতাকা ওড়াতে পারবে, তার প্রতিযোগিতা৷ একটা ফটোতে দেখলাম চার তলা লম্বা একটা পতাকা ঝুলছে এক ভবন থেকে৷ কয়েকটি মৃত্যুও ঘটেছে নানা ভাবে৷''
সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে আসা রাগিব হাসান লিখেছেন, ‘‘কিন্তু আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের এই পতাকার ভিড়ে আমার এই সোনার বাংলার পতাকাটা কোথায়? বাংলাদেশের পতাকা আইন অনুসারে বিদেশি পতাকা কেবল তখনি ওড়ানো চলে, যখন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয় এবং সব চাইতে উঁচুতে সগৌরবে৷''
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম' এর কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাগিব লিখেছেন, ‘‘কাজে ওড়ান পছন্দের দলের পতাকা, মনের আনন্দে, কিন্তু একই সাথে বাংলাদেশের পতাকাও উড়ুক, আর উঁচুতে, আমাদের গর্বে, আনন্দ বেদনার চিরসঙ্গী হিসাবে৷''
আমারব্লগে একই বিষয়ে সজীব ঘোষের লেখার শিরোনাম, ‘‘নেংটুনগরের গবুচন্দ্র আর ভিনদেশি পতাকা৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘একবার ভেবেছেন কত গর্বের পতাকা এই লাল সবুজ? পতপত করে যখন লাল সবুজের পতাকা উড়ে তখন আমি ঐ লাল অংশটার দিকে চেয়ে থাকি৷ কারণ ঐ লাল অংশে আমি সূর্য দেখি না৷ কারণ সূর্য স্থির, সেটা আমার কাছে পূর্বপুরুষের শরীর থেকে বয়ে যাওয়া রক্তের বহমান স্রোত৷''
সজীব ঘোষ লিখেছেন, ‘‘দয়া করে নিজের পতাকাকে সম্মান করুন, ভালোবাসুন৷ নিজেকে সন্মান করা হবে, নিজেকে ভালোবাসা হবে৷ আপনি অন্য যে কোন দেশকেই সমর্থন করতে পারেন, তার বিজয়ে আনন্দ উল্লাস করতেই পারেন৷ কিন্তু পতাকা উড়িয়ে দয়া করে গবুচন্দ্র হয়ে যাবেন না৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন