ব্যাপক হারে ভোট পড়ল পশ্চিমবঙ্গে
৪ মে ২০১১হাওড়া, হুগলি, এই দুই জেলা এবং সেই সঙ্গে বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে, মোট ৬৩টি বিধানসভা আসনে ভোট হল মঙ্গলবার৷ ছয় দফায় বিভক্ত নির্বাচন পর্বের চতুর্থ দফায়৷ মোট এক কোটি ২৬ লক্ষ ভোটারের প্রায় ৮৫ শতাংশ এদিন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন৷ চার জেলার ১৫,৭১১টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬৬ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারন করলেন তাঁরা৷ আগের তিন দফার মতো এবারও ভোট হল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ, ভোট পড়ল ব্যাপক হারে৷ বর্ধমানে ভোট পড়ল ৮৮.২৪ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৯.৫০ শতাংশ এবং হুগলিতে ৮০.০৬ শতাংশ৷ চার জেলায় সন্ধে ছটা পর্যন্ত গড়ে ৮৫ শতাংশ ভোট নথিভুক্ত হয়েছে যা সর্বশেষ হিসেবে ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
এই দফায় ভোট হল সমসাময়িক রাজ্য-রাজনীতির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই জায়গা, যেখান থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, সেই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে৷ হুগলির সিঙ্গুরে টাটাদের এক লাখি ন্যানো গাড়ির কারখানা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিকেল হাবের বিরুদ্ধেই মমতার মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনের শুরু, যা এবারের ভোটে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷
রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন এই চতুর্থ দফায়৷ যাঁদের মধ্যে আছেন শিল্প মন্ত্রী নিরুপম সেন, উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী মহন্ত চট্টোপাধ্যায়, কৃষি মন্ত্রী নরেন দে এবং দমকল মন্ত্রী প্রতীম চট্টোপাধ্যায়৷ দৌড়ে ছিলেন তিন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রচপাল সিং, এইচ এ সফি এবং সুলতান সিং৷ তিন জনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী৷ তৃণমূল এই ৬৩ আসনের ৫৯টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল৷ জোটসঙ্গী কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিল মাত্র চারটি আসন৷ অন্যদিকে ৬৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি৷
তবে এবারের ভোটেও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনা বাদ দিলে, যে নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় কমিশন এবারও ভোট পরিচালনা করল, তাতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না কোনও দলই৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়