1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে পিছিয়ে জার্মানি

৪ মে ২০১০

জার্মানির অটোবান মানে মহাসড়কগুলো দেখলে যে কারোরই গাড়ি নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটতে মন চাইবে৷ তাতে পরিবেশের ক্ষতি হোক বা না হোক৷ সেরকমই এক মহাসড়কে ছুটে চলেছে দু’দরজার ছোটখাট একটি গাড়ি৷ নাম ‘মিনি ই’, নির্মাতা বিএমডব্লিউ৷

https://p.dw.com/p/NDnN
মিনি ইছবি: AP

‘মিনি ই' ছুটতে পারে চমৎকার গতিতে৷ তবে এটি খুব দূর যাত্রার জন্য নয়, প্রস্তুত হয়েছে সিটি কার হিসেবে৷ অনেকটা শব্দহীন এই গাড়িটির পরীক্ষামূলক যাত্রা নজর কেড়েছে জার্মান গাড়ি নির্মাতাদের৷

প্রশ্ন উঠতে পারে পরীক্ষামূলক তকমা কেন? আসলে ‘মিনি ই' একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি৷ বলা যায়, জার্মান গাড়ি নির্মাতাদের ইলেকট্রিক কার নিয়ে গবেষণার এক উদাহরন৷ গাড়িটি কার্বন নির্গমন কমাতে সহায়ক, তবে নগর দূষণে সহায়ক নয়৷ এই গাড়ি নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং আরো কিছুদিন তা চলবে৷

তবে, বৈদ্যুতিক কার নিয়ে জার্মানির এমন পরীক্ষামূলক উদাহরণ তৈরিতে কিন্তু বেশ খানিকটা সময় লেগে গেছে৷ বিশেষ করে টয়টোর বৈদ্যুতিক এবং গ্যাসোলিন এর যৌথ গাড়ি ‘প্রিয়াস' যখন রাস্তায়, কিংবা নিশানের বৈদ্যুতিক গাড়ি যখন এবছরই বাজারে নামতে প্রস্তুত, তখন এই খাতে জার্মান নির্মাতাদের ধীরগতি বেশ ভাবাচ্ছে দেশটির সরকারকে৷ বিশেষত ২০১৩ সালের আগে কোন জার্মান নির্মাতাই রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ি নামাতে সক্ষম হচ্ছে না৷ জার্মান পরিবহণ মন্ত্রী পেটার রামসাওয়ার তাই বললেন, আমরা এখনো সম্পূর্ণ তৈরি এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাপক উৎপাদন শুরু করতে পারিনি৷

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও৷ সোমবার তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে বার্লিনে এক সম্মেলনের আয়োজন করেন৷ যেখানে উপস্থিত শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্নধাররা সহ জ্বালানীখাতের নীতি নির্ধারকরা৷ সম্মেলনে ম্যার্কেল, ২০২০ সালের মধ্যে দশ লাখ পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷ সঙ্গে বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা এখন আরো শক্তভাবে মোকাবিলা করতে হবে৷

উল্লেখ্য, পরিবেশ বান্ধব গাড়ি নির্মাণে গবেষণায় ২০০৯ সালের শুরু থেকে আজ অবধি জার্মান সরকার খরচ করেছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে, এই বিশাল খরচার গবেষণার ফলাফল জার্মানি তথা সারা বিশ্ব কবে নাগাদ পাওয়া শুরু করবে তা কিন্তু ঠিক করে বলছে না কেউ৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়