বেলুন দিয়ে পাখি তৈরি করেন স্কটল্যান্ডের শিল্পী
১৭ জুলাই ২০২০স্কটল্যান্ডের টেরি কুক বেলুন দিয়ে পাখি তৈরি করেন৷ দূর থেকে দেখলে আসল পাখি ও বেলুন দিয়ে তৈরি সেই পাখির মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন৷ যেমন তিনি নাটহ্যাচ বা বনমালী পাখি তৈরি করেছেন৷ ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকার ও রংয়ের বেলুনই তাঁর কাজের উপাদান৷
অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই টেরি বেলুনকে শিল্পের উপকরণ হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্নির জন্মদিনের পার্টিতে আমি কিছু বেলুন তৈরি করেছিলাম৷ তারপর মনে হলো, বেলুন দিয়ে অন্য কিছু করলে কেমন হয়! জানি না আরো বাস্তবসম্মত বলা যায় কিনা, কারণ, এগুলি তো সেরকম দেখতে নয়৷ তবে বাকি জিনিসের তুলনায় অবশ্যই প্রকৃতির আরও কাছাকাছি৷
টেরি কুক নিজের বাসার চিলেকোঠার ঘরকেই স্টুডিও হিসেবে ব্যবহার করেন৷ তিনি স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিন শহরে থাকেন এবং সেখানকার এক কলেজে অধ্যাপনা করেন৷ অবসর সময়ে তিনি শিল্পী৷ শিশুদের জন্মদিনে বেলুন দিয়ে সাধারণ প্রাণী তৈরি করতে তাঁর বেশি সময় লাগে না৷ তবে পাখি তৈরি করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়৷ টেরি বলেন, ‘‘কোনো পাখি বেছে নিয়ে গুগল বা ইন্টারনেটে সেটির কয়েকটি ছবি দেখে নেই৷ এভাবে পালকের গঠন ও অন্যান্য অংশ সম্পর্কে ধারণা পাই৷ তারপর প্রয়োজনমতো বেলুন বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়৷ এর কোনো ঠিক বা ভুল পথ নেই, নির্দিষ্ট নিয়ম নেই৷ ফোলা বেলুন পাকিয়ে মোটামুটি মূল আকার-আকৃতি আনতে পারলেই হলো৷ ব্যস, তাহলেই কাজ সফল৷''
টেরি কুক বেলুন দিয়ে যতটা সম্ভব বাস্তব দেখতে পাখি তৈরির চেষ্টা করেন৷ কাজের শেষে পার্কে যাবার পালা৷ আসল পাখির স্বাভাবিক পরিবেশেই তিনি বেলুন দিয়ে তৈরি পাখির ছবি তোলেন৷ যেমন বনমালী পাখি৷ এই পাখি প্রায়ই উলটো হয়ে গাছের কাণ্ডে ঝুলে থাকে৷ সে কারণে টেরি কুক নিজের তৈরি পাখিও একইভাবে বসিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই পাখি আমার পছন্দ৷ আমাকে পাখি-পাগলও বলতে পারেন৷ সব প্রাণীই পছন্দ করি, তবে পাখি সবচেয়ে প্রিয়৷ কারণ জানি না৷''
স্থানীয় পাখি তাঁর সবচেয়ে বেশি পছন্দের৷ ফটোশুটিংয়ের পর টেরি কুক বেলুন দিয়ে তৈরি পাখি নিয়ে আবার ঘরে ফিরে যান৷ কারণ, তিনি প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করতে চান না৷
ইয়ানিনা সেমিনোভা/এসবি