বেলারুশে জার্মান তরুণের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ
৩১ জুলাই ২০২৪মঙ্গলবার বেলারুশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায়, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জার্মান নাগরিক রিকো কে'কে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ জুন মাসে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়৷
প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর প্রেস বিভাগ জানিয়েছে যে তিনি, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নেবার আগে সকল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন৷''
পরে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে, বেলারুশে এক জার্মান নাগরিকের সাজা মওকুফ হয়েছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘এই খবর স্বস্তি নিয়ে এসেছে৷''
মঙ্গলবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে জার্মান তরুণের সাজার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো৷
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি যে, একজন প্রেসিডেন্টের জীবনে মৃত্যুদণ্ডের সাথে জড়িত এমন ঘটনাগুলি সত্যিই সবচেয়ে কঠিন৷''
যে মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা
রিকো কে'র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সব তথ্য প্রকাশ্যে না এলেও জানা গেছে যে, তিনি সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনার ছবি তুলছিলেন ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের সাথে মিলে কাজ করছিলেন৷ কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন৷
গত মাসে গোপন বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেলারুশের অপরাধ আইনের ছয়টি ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ৩০ বছর বয়সি এই জার্মান তরুণকে৷
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বার্তায়অভিযুক্ত জার্মান তরুণ বলেন যে, ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থা এসবিইউ তাকে এসব সামরিক স্থাপনার ছবি তুলতে ও একটি ট্রেনে বিস্ফোরক রাখতে বলেছে৷ সেই বোমা ফাটলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানান তিনি৷
রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশ
সরাসরি রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে হামলা না করলেও বেলারুশ এই অঞ্চলে রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র৷ ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভে দ্রুত পৌঁছাতে রুশ সৈন্যদের যাতায়াতের জন্য বেলারুশ তার সীমান্ত খুলে দেয়৷
ওএসসিই'র একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে ‘‘যতক্ষণ না বেলারুশের পক্ষ থেকে কোনো সহিংসতাপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে বা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে'', ততক্ষণ পর্যন্ত বেলারুশকে এই যুদ্ধে শামিল হওয়া রাষ্ট্র বলা যাবে না৷
বেলারুশ বর্তমানে একমাত্র ইউরোপিয়ান রাষ্ট্র, যেখানে এখনও বহাল আছে মৃত্যুদণ্ড৷
এসএস/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)