1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে বন্যা

২০ অক্টোবর ২০২১

গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে ধস। জলপাইগুড়িতে বন্যা। রাস্তার উপর তিস্তার জল।

https://p.dw.com/p/41tk1
দার্জিলিং
ছবি: Subrata Goswami/DW

দুইদিনে শুধু দার্জিলিং পাহাড়েই বৃষ্টি হয়েছে ৪০০ মিলিমিটার। সোমবার থেকে টানা বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। প্রশাসন জানিয়েছে, পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ, কেউ যেন এখন বাড়ি থেকে না বের হন। ভয়াবহ অবস্থা জলপাইগুড়িরও। সেখানেও জায়গায় জায়গায় বন্যা হচ্ছে। বাঁধের উপর দিয়ে তিস্তার জল বইছে কোনো কোনো এলাকায়।

পাহাড়ের পরিস্থিতি

উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং দুইটি জেলাই বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালিম্পংয়ের একাধিক ওয়ার্ডে ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি এবং গার্ডওয়াল। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুরসভা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির খবর মেলেনি।

দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সমতলের প্রধান লাইফলাইন হিসেবে ধরা হয় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস নেমে সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে রোহিনী এবং পাঙ্খাবাড়ির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে। দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। চিত্রে, মানেভঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। লাভা থেকে গরুবাথান যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই সবই পর্যটনের জায়গা। পুজোর ছুটি উপলক্ষে বহু মানুষ এ সমস্ত জায়গায় বেড়াতে গেছেন। অনেকেই আটকে পড়েছেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে। সকলকে আপাতত বেরতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। কারণ, বুধবার সারাদিনও ভারী বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি হয়েছে ২৩৩ মিলিমিটার। কালিম্পংয়ে ১৯৯ মিলিমিটার, শিলিগুড়িতে ১৯৬ মিলিমিটার এবং জলপাইগুড়িতে ১৫১ মিলিমিটার।

জলপাইগুড়িতে বন্যা

বৃষ্টির দাপটে তিস্তার জলস্তর অনেকটা বেড়ে গেছে। বহু জায়গায় রাস্তার উপর উঠে গেছে তিস্তার জল। বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় জল ছাড়া হচ্ছে তিস্তার জলাধার থেকেও। ফলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে গেছে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় তিস্তার জল উঠে গেছে।

জলপাইগুড়ির সারদাপল্লি, সুকান্তনগর, মৌয়ামারি, চাঁপাডাঙা, নন্দনপুর, বোয়ালমারি, পাতকাটা প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত। বন্যা শুরু হয়েছে ময়নাগুড়ির দোমোহনিতেও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছে প্রশাসন। বৃষ্টি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাড়ছে করোনা

একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অন্যদিকে করোনার চোখরাঙানি। উত্তরবঙ্গে পুজোর পর থেকেই ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ এরমধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তারই মধ্যে বহু মানুষকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে করোনা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)