1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্যকর উদ্যোগ নেই

আরাফাতুল ইসলাম২১ ডিসেম্বর ২০১৩

যে নদীর তীরে বাংলাদেশের রাজধানীর অবস্থান, সেই নদীর অবস্থা ক্রমশ নাজুক থেকে নাজুকতর হচ্ছে৷ ঢাকা শহরের চাপ আর নিতে পাচ্ছে না এই নদী৷ রাজধানীর অধিকাংশ আবর্জনা গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গায়৷ ফলে নদীর পানি ধারণ করেছে কৃষ্ণবর্ণ৷

https://p.dw.com/p/1AdvV
Bangladesh Burigang Umweltverschmutzung
ছবি: picture-alliance/dpa

বুড়িগঙ্গা নদী এখন কার্যত আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে৷ পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার গৃহস্থালী ও কল-কারখানার সাত হাজার টনেরও বেশি বর্জ্যের ৬৩ ভাগ বিভিন্নভাবে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়ে৷ শুধু হাজারিবাগে অবস্থিত দু'শোর বেশি চামড়া কারখানা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজার ঘন লিটার দূষিত আবর্জনা বের হয়৷ এই আবর্জনায় হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম রয়েছে, যার কারণে ক্যানসার হতে পারে৷ অথচ এই সব বর্জ্যই বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে মেশে৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা-র সমন্বয়কারী ইকবাল হাবিব সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে হাইকোর্ট হাজারিবাগের চামড়া কারখানাগুলো সরিয়ে নিতে বলেছেন৷ এরপর সরকার এবং ট্যানারি মালিকরা মিলে অন্তত ১০ বার সময় নিয়েছে৷

বিষাক্ত বর্জ্য, তেল আর রাসায়নিক পদার্থ মিলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে৷ তারপরও এই পানি ব্যবহার করা হচ্ছে ধোঁয়ামোছার কাজে৷ এছাড়া দখলের কারণেও শীর্ণ হয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা৷ এই নদীর ৪ হাজার দখলদারকে ২০১০ সালের শুরুর দিকেই চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন৷ তবে চিহ্নিত হলেও অবৈধ দখলদারদের উদ্ধার অভিযান আজও গতি পায়নি৷

এদিকে, দূষিত পানি এবং দুর্গন্ধের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী ভ্রমণ থেকেও বিরত থাকছেন পর্যটকরা৷ ফলে এখাত থেকে অর্থ উপার্জনের উপায় থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না৷ পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতাও বুড়িগঙ্গার মাঝিদের উপার্জনের উপর প্রভাব ফেলছে৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা'র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুড়িগঙ্গার পানিতে এখন লেড ও ক্যাডমিয়ামসহ ৬ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে৷ তা শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, আশেপাশের ৫৬ কিলোমিটার নদীকে দূষিত করছে৷ আর এই দূষিত পানির কারণে ৪০ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য