বুন্ডেসলিগায় খরচের শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ
৩ আগস্ট ২০১১গত বছর বুন্ডেসলিগায় খেলোয়াড়দের বদলি বাবদ দলগুলো সাকুল্যে খরচ করে ৮৭ মিলিয়ন ইউরো৷ এবছর মৌসুমের শুরুর দিকেই খরচের সে পরিমাণ উতরে গেছে৷ ইতিমধ্যে খেলোয়াড় বদলি বাবদ ১৮ ক্লাব বিনিয়োগ করেছে ১৩২ মিলিয়ন ইউরো৷ এরমধ্যে শীর্ষে আছে বায়ার্ন মিউনিখ৷ খেলোয়াড়দের পেছনে তাদের বিনিয়োগ এখন পর্যন্ত ৪৫ মিলিয়ন ইউরো৷
জার্মান গোলরক্ষক এবং সদ্য ‘প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার' খেতাবজয়ী মানুয়েল নয়ার-কে দলে টানতে বায়ার্ন খরচ করেছে ২২ মিলিয়ন ইউরো৷ নয়ার আগে ছিলেন শালকেতে৷ চলতি মৌসুমে তিনিই সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়৷ এছাড়া রক্ষণভাগকে শক্তিশালী করতেও বিশেষ উদ্যোগী বায়ার্ন৷ এজন্য খরচ ১৯ মিলিয়ন ইউরো, দলে এসেছেন জেরোম বোয়াটেং এবং রাফিনিয়া৷
বায়ার্ন অধিনায়ক ফিলিপ লাম চলতি মৌসুম সম্পর্কে বলেছেন, আমরা ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ান এবং একইসঙ্গে জার্মান কাপ জয়ী দল হতে চাই৷ বছরের পর বছর এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছে বায়ার্ন মিউনিখ৷
এদিকে, বায়ার্ন হাত খুলে খরচ করলেও বুন্ডেসলিগার অন্যান্য দলগুলো কিন্তু বেশ রক্ষণশীল৷ গতবারের কাপ জয়ী বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের তরুণ দল এবারও প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে৷ সেদলের তুর্কী খেলোয়াড় নুরী শাহিন অবশ্য চলে গেছেন রেয়াল মাদ্রিদ দলে৷ এছাড়া দলটি ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো খরচায় দলে ভিড়িয়েছে ইভান পেরিসিচকে৷
বুন্ডেসলিগার অপর দুই নামজাদা দল এসভি হামবুর্গ এবং শালকে কৃচ্ছসাধন নীতি বজায় রেখেছে৷ তাদের লক্ষ্য তরুণ এবং জয়ের জন্য মরিয়া খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানো৷ বলাবাহুল্য জার্মান জাতীয় দলও বর্তমানে চলছে একই নীতিতে৷ তরুণ খেলোয়াড়দেরকে দিয়েই জাতীয় দল সাজিয়েছেন ইওয়াখিম ল্যোভ৷
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে খেলোয়াড় বদলের খরচায় রেকর্ড গড়েছিল বুন্ডেসলিগা৷ সেবার সবমিলিয়ে ১৯৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলগুলো৷ তবে, জার্মানিতে বিনিয়োগকারীরা কোন ফুটবল দলকে পুরোপুরি কিনে নিতে পারেনা৷ তাই খেলোয়াড় বদলে ইংল্যান্ড, ইটালি কিংবা স্পেন এর মত খরচ জার্মানিতে সম্ভব নয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন