বীটলসদের লিভারপুল মাত করল ‘‘বিবার ম্যানিয়া’’
১৩ মার্চ ২০১১জাস্টিন আবার ছিল ঠিক সেই বীটলসদের ‘হার্ড ডে'জ নাইট' খ্যাত হোটেলটিতে৷ বাইরে ত্রয়োদশী, পঞ্চদশীদের ভিড়, আকুল চেঁচামেচি, এমনকি মূর্ছা৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশকে খবর দিতে বাধ্য হয় হোটেলের কর্মীরা৷ পুলিশ এসে লিভারপুলের কেন্দ্রে ঐ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ করে৷ ঘণ্টা ছয়েক পরে সেই রাস্তা আবার খুলে দেওয়া হয়৷
নির্দোষ দেবশিশুর মুখাবয়বের টিনেজ পপ সেন্সেশন জাস্টিন বিবার স্বভাবতই টুইটার করে তার ফ্যানদের জানিয়েছে: ‘‘পাগল পরিস্থিতি৷ বাইরে হাজার হাজার মানুষ৷ সকলকেই ভালোবাসি কিন্তু এখন একটু ঘুমোবার চেষ্টা করব৷ চেঁচিও না প্লিজ৷ অনেক, অনেক ভালোবাসা৷'' - বিবারের আসলে শুক্রবার লিভারপুল একো এ্যারেনা'তে গান গাওয়ার কথা ছিল৷
কিন্তু আমার মতো যারা একেবারে প্রথম প্রহরের বীটলস ফ্যান, তাদের আঁতে লেগেছে বৈকি৷ বীটলসদের ‘হার্ড ডে'জ নাইট' ছবির উপজীব্যই তো হল ঐ চেঁচামেচি করা, মুচ্ছো যাওয়া কিশোরী-তরুণীদের ভিড়৷ বীটলস ম্যানিয়া থেকেই তো এই বিশেষ ধরণের ব্যারামের সূচনা৷ আজ কে একটা বছর সতেরোর পুঁচকে ছেলে এসে সেই সিংহাসনে বসবে?
পরে মনে হল: আমরা যারা খাঁটি বীটলস ফ্যান, তারা তো কোনোদিন ঐ চেঁচামেচির অঙ্গ ছিলাম না৷ জন লেনন, পল ম্যাককার্টনি, জর্জ হ্যরিসন, রিঙ্গো স্টার'কে আমরা পরে তাদের স্টুডিও এ্যালবামগুলো দিয়ে চিনেছি এবং মনে রেখেছি৷ বীটলসরা পপ গানের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিল তাদের সঙ্গীতপ্রতিভা এবং তাদের সৃজনীশক্তি দিয়ে৷ পপ কালচারের সংজ্ঞা বদলানোটা এসেছে তার উপসর্গ হিসেবে৷ জাস্টিন বিবার লিভারপুলের কিশোরীদের হৃদয় জয় করেছে বটে, কিন্তু পেনি লেন কিংবা স্ট্রবেরি ফিল্ডস জয় করা থেকে সে এখনও অনেক দূরে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়