বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ ‘আলমা’
১৩ মার্চ ২০১৩ইউরোপ, উত্তর অ্যামেরিকা ও এশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করে এই টেলিস্কোপটি তৈরি হয়েছে৷
মহাবিশ্বের ইতিহাস জানা, তারাদের জন্মকথা শোনা আর ছায়াপথের গঠন প্রক্রিয়া জানতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ, বলছেন ভল্ফগাঙ ভিল্ড৷ তিনি জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত আলমা টেলিস্কোপের ইউরোপীয় কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা৷
ভিল্ড বলছেন, এই টেলিস্কোপের জন্য যেমন উঁচু, শুষ্ক আর বিশাল এলাকা প্রয়োজন ছিল চিলির আটাকামা মরভূমিতে সেটা পাওয়া গেছে৷
সারা বিশ্বের প্রায় পাঁচশো ব্যক্তি এই টেলিস্কোপ তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ এখন থেকে প্রায় একশো জন ব্যক্তি এটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন৷
তবে বর্তমানে আলমা সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ হলেও আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ এটা তার গৌরব হারিয়ে ফেলবে৷ কেননা আলমার চেয়েও বড় একটি টেলিস্কোপের নির্মাণকাজ চলছে৷ ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরি (ইএসও) এটি তৈরি করছে, যার নাম ইউরোপিয়ান এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (ই-ইএলটি)৷
এটিও চিলির আটাকামা মরুভূমিতে তৈরি হচ্ছে৷ ই-ইএলটি'র ক্ষমতা হবে বর্তমানের হাবল টেলিস্কোপের প্রায় ১৫ গুন৷ এটা দিয়ে ১৩ বিলিয়ন বছর আগের অতীত দেখা যাবে৷ এছাড়া বিখ্যাত ‘বিগ ব্যাং' এর পর গঠিত প্রথম ছায়াপথের আলো কেমন ছিল সেটাও দেখা যাবে ই-ইএলটি দিয়ে৷
ভিল্ড বলছেন আলমা আর ই-ইএলটি'র কাজ হবে ভিন্ন৷
জেডএইচ / এসবি (ডিপিএ)