1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে চলেছে হাবল

৩০ মার্চ ২০২১

মহাকাশ অভিযানের সার্থকতা সম্পর্কে যারা প্রশ্ন তোলেন, হাবল টেলিস্কোপের কাহিনি তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত৷ প্রাথমিক ব্যর্থতা কাটিয়ে মহাকাশের এই চোখ একের পর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/3rMdR
ছবি: ESA

হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপর ভাসমান অবস্থায় মহাকাশের নির্ভেজাল দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করছে৷ এমন কিছু ঘটনা সেটির চোখে পড়ছে, যা পৃথিবী থেকে দেখা অসম্ভব৷ মহাকাশের এই চোখ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের লুকানো সৌন্দর্য আমাদের চোখের নাগালে নিয়ে এসেছে এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে৷

অথচ দৃষ্টিশক্তির ত্রুটির কারণে এই মিশন প্রায় বানচাল হতে বসেছিল৷ এমন বিপর্যয়ের ফলে সেই টেলিস্কোপ দিয়ে শুধু অস্পষ্ট ছবি তোলা যাচ্ছিল৷ সৌভাগ্যবশত হাবল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে সেটির ভুলত্রুটি মেরামত করা সম্ভব৷ মোট পাঁচ বার মহাকাশে সেই টেলিস্কোপে নতুন যন্ত্রপাতি লাগানো হয়েছে৷

এর ফলে শুধু টেলিস্কোপের আয়ু বেড়ে যায় নি, মেরামতির কাজ চালানোর সুবাদে সেটি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত টেলিস্কোপ হয়ে উঠেছে৷ ছবির মানও উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে৷ এই টেলিস্কোপের সাহায্যে জ্যোতির্বিদ্যার একাধিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে৷

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের লুকানো সৌন্দর্য দেখাচ্ছে হাবল

যেমন হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবি দেখে জানা গেছে, যে আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আরও দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে৷ এই আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়৷ হাবলের কল্যাণেই জানা গেছে যে মহাকাশের বয়স ১,২০০ থেকে ১,৩০০ কোটি বছর৷

হাবলের আগে মহাকাশের এত গভীরে উঁকি মারা সম্ভব হয় নি৷ সেই জ্ঞানের কল্যাণে গ্যালাক্সির বিকাশ আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে৷ হাবল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বেশিরভাগ গ্যালাক্সির মাঝের অংশে বিশাল ভরসম্পন্ন ব্ল্যাক হোল বাসা বেঁধে রয়েছে৷

নক্ষত্রের জন্ম ও বিকাশ সম্পর্কেও নতুন তথ্য দিয়েছে হাবল টেলিস্কোপ৷ মহাজাগতিক ধুলার আড়ালে নক্ষত্রের জন্মের বিস্তারিত দৃশ্যও দেখা গেছে৷ নক্ষত্রের মৃত্যু সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা গেছে৷ হাবলের তোলা ছবি সাজিয়ে আলোড়নে ভরা  সেই প্রক্রিয়া চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে৷ পরের দিকে হাবল দূরের নক্ষত্রজগতের মধ্যে গ্রহগুলিও পর্যবেক্ষণ করেছে৷ এমনকি সেগুলির বায়ুমণ্ডলও পরীক্ষা করেছে৷

সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে মহাকাশে ভাসমান এই টেলিস্কোপ ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে এবং আরও অনেক বিস্ময়কর আবিষ্কার করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...