বিদ্যুতের দাম
২০ মার্চ ২০১২বাংলাদেশে এখন ২৯ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় জ্বালানি তেল ফার্নেস অয়েল এবং ডিজেল দিয়ে৷ আর সামনের বছর জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাড়াবে ৩৬ ভাগ৷ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে জানান, সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে জ্বালানি তেল ভিত্তিক রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট অনুমোদন দিয়েছে৷ গ্যাসের অপ্রতুলতার কারণে এটি করতে হয়েছে৷ আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় বাড়তে থাকায়, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে৷ তাই দাম সমন্বয় করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই৷
ড. সেলিম মাহমুদ জানান, পিডিবি দাবি করেছে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪১ পয়সা বাড়াতে হবে৷ কিন্তু তাদের এই দাবি পর্যালোচনা করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি ২২ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে৷ কমিশন দুটো প্রস্তাবই পর্যবেক্ষণ করছে৷ ২২ পয়সা এবং ৪১ পয়সার মাঝামাঝি একটি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হবে৷
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতেই হবে৷ কারণ এই খাতে দীর্ঘদিন ভর্তুকি দেয়া যাবেনা৷ আর ভর্তুকি দেয়া হয় দেশের সাধারণ মানুষের করের টাকায়৷ কিন্তু তার সুবিধাভোগী দেশের সাধারণ মানুষ নয়৷
ড. সেলিম মাহমুদ দাবি করেন, স্বল্পমেয়াদে বা তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই প্রক্রিয়া সামাল দেয়ার জন্য৷ তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদে কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, তার উৎপাদন খরচ কম হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ