বিশ্বকাপের ১০ দল

আগের ১১টি আসরে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন এবং দুইবার রানার্স আপ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টানা তিনবার জয়ের রেকর্ডও তাদের৷ এবারও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া৷

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নিউজিল্যান্ড৷ প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বর্তমানে রানার্স আপ ব্ল্যাক ক্যাপসরা৷ ছয় আসরে সেমি ফাইনাল এবং এক আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দেশটি৷

১৯৯৯ সালে থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ৷ ২০০৭ সালে সুপার এইটে পৌঁছার পর ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে টাইগাররা৷

তিনবার ফাইনাল খেলে দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত৷ ১৯৮৩ সালের পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় দেশটি৷ এর মধ্যে ১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১৫ সালে সেমি ফাইনাল খেলেছে তারা৷ এবার আইসিসি ব়্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে বিশ্বকাপে খেলছে ভারত৷

দুইবার ফাইনালে খেলে একবার বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান৷ ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ঘরে তুললেও ১৯৯৯ সালে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দেশটিকে৷ ১১ আসরের মধ্যে চারটিতে সেমি ফাইনাল এবং দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের৷

তিনবার ফাইনাল খেললেও কোনোবার শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংল্যান্ডের৷ প্রতিবারই রানার্স আপ থাকতে হয়েছে ক্রিকেটের ‘আঁতুড়ঘর’ দেশটিকে৷ বিগত তিন বছরের অসাধারণ খেলার ধারাবাহিকতায় আইসিসির এক নম্বর র‍্যাংকিংয়ে আছে দলটি৷

বিশ শতকের বহু বড় বড় ক্রিকেট তারকার জন্ম দিলেও ১১ আসরের মধ্যে কোনোবার ফাইনালে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা৷ প্রায় প্রত্যেকবার ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে এলেও চার বারই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের৷ ২০০৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় এবং ২০১১ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা৷

তিনবার ফাইনাল খেলে একবার শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা৷ ১৯৯৬ সালে জিতলেও ২০০৭ ও ২০১১ সালে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের৷

ভারতের মতো তিনবার ফাইনাল খেলে দুইবার ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ ক্যারিবিয়ানরা দুই শিরোপা জিতেছে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরেই৷ এর পরেরবার ১৯৮৩ সালে রানার্সআপ হওয়ার পর আর ফাইনাল খেলতে পারেনি দেশটি৷

২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান৷ এবারও মোহাম্মদ নবীর মতো অলরাউন্ডার ও রশিদ খানের মতো স্পিনার নিয়ে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে অংশ নিচ্ছে দেশটি৷