1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে এশিয়া, ওশেনিয়া একসঙ্গে?

২৮ নভেম্বর ২০১৩

এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান শেখ সালমান নাকি ফিফা’র কাছে সেই প্রস্তাবই দিতে চলেছেন৷ এশিয়া, ওশেনিয়া তাদের কোয়ালিফাইং স্লটগুলি একত্র করলে দলগুলির বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে বলে তাঁর ধারণা৷

https://p.dw.com/p/1APPt
Newly elected President of Asian Football Confederation Sheikh Salman Bin Ibrahim Al Khalifa of Bahrain speaks during AFC conference at a hotel in Kuala Lumpur, Thursday, May 2, 2013. Sheik Salman won a landslide victory to be elected president of the Asian Football Confederation on Thursday, replacing longtime rival Mohamed bin Hammam. (AP Photo/Vincent Thian)
ছবি: Vincent Thian/picture alliance/AP Photo

এএফসি প্রেসিডেন্ট শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফা হঠাৎ এ'রকম কথা বলে বসলেন কেন, এ'কথা যারা ভাবছেন, তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, এশিয়ার জর্ডান এবং ওশেনিয়ার নিউজিল্যান্ড সম্প্রতি তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ'গুলো হেরেছে উরুগুয়ে এবং মেক্সিকোর কাছে৷ নিউজিল্যান্ড মেক্সিকোর কাছে হারে ৯-৩ গোলে, অ্যাগ্রেগেটে; জর্ডান উরুগুয়ে'র কাছে হারে ৫-০ গোলে, অ্যাগ্রেগেটে৷

মেক্সিকোর কাছে হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিদায়ী কোচ রিকি হার্বার্ট বলেছেন, নিউজিল্যান্ডেরও অস্ট্রেলিয়ার মতো ওশেনিয়া ছেড়ে এএফসি'তে যোগদান করা উচিৎ৷ শেখ সালমান ঠিক সেদিকে যাননি৷ কুয়ালালামপুরে এএফসি অ্যাওয়ার্ডস'এর নৈশভোজে তিনি বলেন, তার চাইতে ভালো হবে যদি এশিয়া এবং ওশেনিয়ার বিশ্বকাপ কোটাগুলি এক করা যায়৷ তার কারণ হিসেবে শেখ সালমান বলেন, ‘‘ভৌগোলিকভাবে এবং (ফুটবলে) পারদর্শিতার দিক থেকে আমরা একই মানের অথবা পর্যায়ের বলে আমার ধারণা''৷

বিশ্বকাপে এশিয়ার চারটি নিজস্ব স্থান এবং একটি ‘হাফ-স্লট' আছে: অর্থাৎ একটি আন্তর্জাতিক প্লে-অফ'এ খেলার সুযোগ৷ওশেনিয়া থেকে মাত্র একটি দল বিশ্বকাপে যাবার সুযোগ পেতে পারে, সে'ও ঐ আন্তর্জাতিক প্লে-অফের মাধ্যমে৷ বিশ্বকাপের প্লে-অফে এশিয়ার দলগুলি কোনোদিনই বিশেষ ভালো করতে পারেনি৷ অপরদিকে অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়া ছেড়ে এশিয়ায় যোগদান করে ২০০৬ সালে এবং সে'যাবৎ ২০১০ ও ২০১৪, দু'টি বিশ্বকাপের জন্যই কোয়ালিফাই করতে পেরেছে৷ যদিও তার ফলে সৌদি আরবের মতো প্রতিযোগীদের বিদায় নিতে হয়েছে: যে সৌদি আরব ২০০৬ সাল অবধি পর পর চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল৷

ওশেনিয়ার অবস্থা আরো শোচনীয়৷ ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড একবার বিশ্বকাপে যেতে পেরেছিল, ২৮ বছর পরে সেই প্রথম৷ ওশেনিয়ার আর কোনো দল কখনো বিশ্বকাপে পৌঁছতে পারেনি৷ পৌঁছবেই বা কি করে? ২০১৪'র বিশ্বকাপের জন্য ফিফা যে ‘ড্র' করে, তা'তে ওশেনিয়ার নাম ওঠে কনকাকাফ'এর বিরুদ্ধে - যা কিনা উত্তর ও মধ্য অ্যামেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের ফুটবল কনফেডারেশন৷ এএফসি'র নাম ওঠে কমেবোল অর্থাৎ দক্ষিণ অ্যামেরিকার ফুটবল কনফেডারেশনের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু ফুটবলের মান অনুযায়ী বস্তুত এশিয়ার পঞ্চম দলটির সঙ্গে ওশেনিয়ার হাফ-স্লটের খেলা হওয়া উচিত ছিল - যেক্ষেত্রে কনকাকাফ ও কমেবোল পরস্পরের মধ্যে প্লে-অফ করতে পারত৷ তা'তে আর কিছু না হোক, ফার্স্ট আর সেকেন্ড লেগের খেলার জন্য প্লেয়ারদের ডজন খানেক টাইম জোন পার হয়ে, জেট ল্যাগে ভুগে-টুগে মাঠে নামতে হত না!

এসি / জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য