ফুটবল নিয়ে বাজি এবার চরমে
২৬ মে ২০১৪স্লোগানটা হলো: লাইভ ম্যাচ অ্যাকশন – যার ফলে এবারকার বিশ্বকাপ সারা বিশ্বের বুকমেকারদের পক্ষে একটি সর্বকালের অর্থকরী ব্যবসা হয়ে উঠতে পারে৷ এমনকি গতবারের বিশ্বকাপে তাঁরা যা রোজগার করেছিল, এবারকার বিশ্বকাপে তার দ্বিগুণ মুনাফা হওয়াটাও কিছু আশ্চর্যের নয়৷
সাধারণভাবেই বলা যেতে পারে যে, বিগত কয়েক বছরে ফুটবল নিয়ে বাজি ধরাটা জনপ্রিয়তায় প্রায় ঘোড়দৌড়কে ধরে ফেলেছে: কথাটা বিশেষ করে ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ সেখানকার বুকমেকাররা এবার বেটিং শপ-এর চেয়ে অনলাইন বেটিং থেকেই বেশি বেট টানবেন বলে আশা করছেন – বিশেষ করে তরুণ গ্যাম্বলারদের কাছ থেকে৷
তরুণ প্রজন্ম লাইভ টিভি অ্যাকশন দেখে অভ্যস্থ; যেমন সেই অ্যাকশনের ফাঁকে ফাঁকে মোবাইল ফোনটা টেনে নিয়ে কোনো বেট প্লেস করা, অর্থাৎ বাজি ধরাটাও তাঁদের কাছে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলেই মনে হয়৷ পান্টাররা যে খেলা চলাকালীন খেলার অসংখ্য খুঁটিনাটি নিয়ে বাজি ধরতে পারেন, সেটাও এই নতুন জুয়াড়িদের কাছে একটা বিশেষ আকর্ষণ৷
একক প্লেয়ারদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি বাজি ধরা যায়: তারা গোল করবে কিনা; লাল কিংবা হলুদ কার্ড দেখবে কিনা৷ বাকি রইল অ্যাকশন: ম্যাচে ক'টা কর্নার হবে, ইত্যাদি৷ কোনো কোনো বুকমেকার নাকি শুধু একটি ম্যাচের উপরেই এ ধরনের প্রায় আড়াই'শো বাজি ধরার রেখেছেন৷
অ্যাপল স্টোর-এ অ্যাপ, মোবাইল বেটিং, এগুলোই এখন ইনডাস্ট্রির ডালভাত হয়ে দাঁড়াচ্ছে – পরে হয়ত একদিন জলভাত হয়ে উঠতে পারে৷ লাইভ ম্যাচ পেজ, গেস্ট ব্লগার হিসেবে নামকরা সব পুরনো প্লেয়ার, এ সবই পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে এবং হচ্ছে৷ এছাড়া রয়েছে যাকে বলা হয় অ্যাকুম্যুলেটর বেট: অর্থাৎ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বা সংশ্লিষ্ট বাজি, যেমন আটটি গ্রুপে কোন আটটি দল জিতবে৷
তবে যুক্তরাজ্যে এবার একটি পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো: পান্টার বা যাঁরা বাজি ধরছেন, তাঁদের মধ্যে অহেতুক দেশপ্রেম দৃশ্যত এবার মাথা চাড়া দেয়নি৷ ব্রিটেনের বিশ্বকাপ জেতার বাজি ধরা হচ্ছে ২৮-১, সেক্ষেত্রে ব্রাজিলের ৩-১৷ অবশ্য বাজি এক ব্যাপার আর ফুটবল আরেক ব্যাপার: ফুটবল সব সময়েই তার নিজের মর্জি মতো চলে, যদি না ম্যাচ ফিক্সিং...
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)