1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকানদের বিশ্বকাপ ভাবনা

২৮ এপ্রিল ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দল জুনের মাঝামাঝি সময়ে যখন ব্রাজিল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে, তখনো অধিকাংশ অ্যামেরিকান বুঁদ হয়ে থাকবেন রাগবি কিংবা বেইসবলের খবরে৷

https://p.dw.com/p/1Borf
ছবি: YASUYOSHI CHIBA/AFP/Getty Images

বিশ্বকাপ সামনে রেখে রয়টার্স-ইপসোস যুক্তরাষ্ট্রে একটি জনমত জরিপ চালিয়েছে, যাতে প্রতি তিনজন অ্যামেরিকানের মধ্যে দু'জনই বলেছেন, এই টুর্নামেন্টে কি হলো – তা নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই৷ মাত্র সাত শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করতে চান৷

‘সুপার পাওয়ার' যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজন হয়েছিল – তাও ২০ বছর হয়ে গেল৷ তার দুই বছর পর সেখানে শুরু হয় পেশাদার ফুটবল টুর্নামেন্ট – ‘মেজর লিগ সকার'৷ এই দুই দশকে অ্যামেরিকায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা যে বেড়েছে তার প্রমাণ মেলে লিগে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা হিসাব করলেই৷ শুরুতে ১০টি দল নিয়ে শুরু হলেও এখন তা বেড়ে ১৯টিতে দাঁড়িয়েছে৷

Fußball Championship David Beckham
মার্কিন মুল্লুকে ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছেন ডেভিড বেকহ্যামছবি: picture-alliance/dpa

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেভিড বেকহ্যাম ও থিয়েরি অঁরির মতো তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণও এই লিগকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছে৷ নিউ ইয়র্ক ইয়াংকির সঙ্গে মিলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি ইতোমধ্যে গঠন করেছে নতুন দল ‘নিউ ইয়র্ক সিটি ফুটবল ক্লাব', যারা আগামী বছরই এ লিগে খেলতে নামবে৷

ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বেকহ্যামের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠছে মিয়ামির আরেকটি দল, যারা মেজর লিগে খেলতে আগ্রহী৷ কিন্তু বিশ্বকাপকে অ্যামেরিকান ফুটবলের ‘সুপার বোল' বা বেসবলের ওয়ার্ল্ড সিরিজের মতো জনপ্রিয় করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আরো অনেক পথ গড়াতে হবে ফুটবলকে৷

রয়টার্স-ইপসোস জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ অ্যামেরিকান বলেছেন, তারা ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না৷ দুই তৃতীয়াংশের বেশি অ্যামেরিকান জানেন না – এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কোনটি৷

৪৮ বছর বয়সি হোসে ভারগাস যুক্তরাষ্ট্রর হিউস্টনে বসবাস করছেন ২০০৩ সাল থেকে৷ এবার সবগুলো খেলা টেলিভশনে দেখার সুযোগ হয়ত তিনি পাবেন না, তবে নিজের দেশ কলোম্বিয়ার প্রতি তার সমর্থন ঠিকই থাকবে৷

হোসে ভারগাস জানান, তাঁর স্প্যানিশ ভাষাভাষি বন্ধুদের মধ্যেই ফুটবল বেশি জনপ্রিয়৷ তাঁর ভাষায়, ফুটবল এমন একটি খেলা – ইউরোপ আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার মানুষই যেটি বেশি দেখে৷

এবারের বিশ্বকাপসহ ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফিফা আয়োজিত সব ফুটবল ম্যাচ ইংরেজি ভাষায় সম্প্রচারের জন্য ২০০৫ সালে ১০ কোটি ডলারে স্বত্ত্ব কিনেছিল এবিসি এবং ইএসপিএন৷ অথচ স্প্যানিশ লিগ সম্প্রচারের স্বত্ত্ব পেতে ইউনিভিশনকে দিতে হয়েছে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার৷

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হিস্পানিকদের এক তৃতীয়াংশ জরিপে বলেছেন, তারা ব্রাজিল বিশ্বকাপের দিকে পুরো মাত্রায় নজর রাখবেন৷ ২০১০ সালের পরিসংখ্যান সুমারি অনুযায়ী, হিস্পানিকদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ৷

গত ৭ থেকে ১১ এপ্রিল ১ হাজার ৪১৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক অ্যামেরিকানের ওপর এই জরিপ চালায় রয়টার্স-ইপসোস৷ এই জরিপে অংশ নেয়া ফিনিক্সের বাসিন্দা কেলি কোসিন্যু জানান, স্কুলে ফুটবল খেললেও কলেজে বৃত্তি পেতে সুবিধা হবে ভেবে পরে তিনি ভলিবলে মনোযোগ দিয়েছিলেন৷ এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে তারও খুব বেশি আগ্রহ নেই৷

‘‘ফুটবল খেলাটা এখানে সবাই সেভাবে ফলো করে না৷ বাস্কেটবল আর বেইসবলকেই ‘অল-অ্যামেরিকান' খেলা বলে মনে করা হয়৷''

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য