1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব নিরাপত্তার হুমকি অভিবাসন, রাশিয়া

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শুক্রবার থেকে জার্মানিতে তিনদিনব্যাপী ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন' শুরু হচ্ছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদেরা এতে অংশ নেবেন৷

https://p.dw.com/p/4cL3Z
টেক্সাসের কাছে রিও গ্রান্ডের তীরে কয়েকজন অভিবাসনপ্রত্যাশী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের আগে এক জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন ও যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অভিবাসনকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেনছবি: Maria Alejandra Cardona/REUTERS

প্রতিবছর এই সম্মেলনের আগে একটি জরিপ প্রকাশ করা হয়৷ ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক' শীর্ষক এবারের জরিপটি সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে৷ শিল্পোন্নত সাত দেশ, ব্রাজিল, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার প্রায় ১২ হাজার মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়৷ গত অক্টোবর ও নভেম্বরে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে৷

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন ও যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অভিবাসনকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করছেন৷ এরপর আছে রাশিয়া৷ এছাড়া সাইবার হামলাকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন উত্তরদাতারা৷

গতবছরের জরিপে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল রাশিয়া৷

ইউক্রেনের মানুষের কাছে যুদ্ধবিরতির গ্রহণযোগ্য শর্ত সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন কর্তৃপক্ষ৷ ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা ক্রাইমিয়াসহ ইউক্রেনের সব জায়গা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন৷ মাত্র ১২ শতাংশ বলেছেন, ক্রাইমিয়া যদি রাশিয়ার অংশ থেকে যায় তাহলে সেটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে৷ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি উত্তরদাতা দ্রুত ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন৷

চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পশ্চিমা বিশ্ব প্রভাব হারাচ্ছে

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে বলে শঙ্কা বেড়েছে৷ এছাড়া জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে চীনের ক্রমাগত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা নিয়ে ভয় বেড়েছে বলেও জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে৷

সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হয়েসগেন তার রিপোর্টে লিখেছেন, ‘‘শিল্পোন্নত সাত দেশের একটি বড় অংশের নাগরিকেরা মনে করছেন, আগামী ১০ বছরে তাদের দেশ কম নিরাপদ ও সম্পদশালী হবে৷'' জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চীন ও গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো তাদের শক্তি ও প্রভাব বাড়াবে বলে মনে করছেন জি-সেভেনের নাগরিকেরা৷

ফ্রাঙ্ক হফমান/জেডএইচ