বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
১৯ জানুয়ারি ২০১৩বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালেই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর৷ টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে মুসল্লিদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ দ্বিতীয় পর্বে ৩৩ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন৷ রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা৷
এবারও বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষ মঞ্চ থেকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টার মধ্যে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত৷ এর আগে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়তি বয়ান৷ হেদায়তি বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সাদ এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন একই দেশের প্রখ্যাত আলেম ও বিশ্ব তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা জোবায়রুল হাসান৷ ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা বলছিলেন, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় তারা দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন৷
বিশ্ব ইজতেমার জিম্মাদার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা মো. জামিল, বাদ জোহর ভারতের মাওলানা মিয়াজী আজমত, বাদ আসর ভারতের জোবায়রুল হাসান ও বাদ মাগরিব ভারতের আহম্মেদ লাট৷ এবারও ৭৭টি দেশের ৩০ হাজারেরও মত বিদেশি মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন৷ তারাও বলছিলেন ইজতেমায় আসার কারণ৷
আসরের নামাজের পর ভারতের জোবায়রুল হাসান যৌতুকবিহীন বিয়ে পরিচালনা করেন৷ শরীয়ত মেনে তাবলীগের রেওয়াজ অনুযায়ী বয়ান মঞ্চের পাশেই বর-কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷ তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হয় না৷ বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়৷ তখন মঞ্চের আশেপাশের মুসল্লিদের মাঝে ছুঁড়ে দেয়া হয় খোরমা খেজুর৷
এদিকে রবিবার আখেরি মোনাজাতকে সামনে রেখে চালু করা হয়েছে বিশেষ ট্রেন৷ টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে ১৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সকল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে৷
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার আখেরি মোনাজাতের সময় পর্যন্ত ইজতেমার আশপাশের এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি ছাড়া সাধারণ যানবাহন বন্ধ থাকবে৷