এই অবস্থায় সবশেষ নিয়োগ পাওয়া তিন উপদেষ্টার মধ্যে দুইজনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা৷
এই দুইজন উপদেষ্টা হলেন, শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী৷
এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বাইরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন৷
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কথায় উপদেষ্টা নিয়োগ বা সরকার পরিচালনা অনাকাঙ্খিত৷ রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে সরকার গঠন করা দরকার ছিলো৷ তাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করা দরকার৷''
তিনি বলেন, ‘‘এখন সরকার কে চালায়, কারা উপদেষ্টা নিয়োগ করছেন, কীভাবে চলছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না৷ পুরো তালগোল পাকিয়ে ফেলা হয়েছে৷ এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷''
‘‘ইউনূস সাহেব শুরুতে ছাত্ররা তাকে নিয়োগ দিয়েছে বলে ভুল করেছেন৷ ফলে ছাত্রদের একটা বাড়তি চাপ দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে৷ আবার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে একজনকে দেশের বাইরে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন৷ এইসব করে পরিস্থিতি খারাপ করা হয়েছে৷ মূল কাজ নির্বাচন ও সংস্কার দেরি হয়ে যাচ্ছে,'' বলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স৷